সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ আগস্ট : ভোজন রসিকদের কাছে সর্বদাই তিস্তা নদীর বোরলি মাছ এক চির পরিচিত নাম। আর আপামর বাঙালির কাছে তিস্তার এই মাছ সর্বদাই প্রিয়। এই গরমে তিস্তার তাজা বোরলি মাছের কালো জিরে দিয়ে পাতলা ঝোল যদি দুপুরের আহার হয়, তবে ব্যাপারটি কেমন হবে বলুন তো? হ্যাঁ, একেবারে জিভে জল আসার মতই বিষয়টি যে হয়ে উঠবে তা কিন্তু একেবারে বলাই নিশ্চিত।

কি করে মৎস্যজীবীরা এই সুস্বাদু বোরলি মাছ ধরছেন তার হাল হকিকত জানা গেল জলপাইগুড়ি শহরের অদূরে তিস্তা সেতু সংলগ্ন তিস্তা নদীর মাঝে। এই নদীকে আমরা ত্রাসের নদী বলেই জানি। বর্ষার মরশুমে এই নদীর ভয়ানক রূপের দেখা মিললেও অন্যসময় তিস্তা কিন্তু অপরূপ সুন্দর ও শান্ত নদী বলেই পরিচিত। তিস্তা পারের অসংখ্য মৎস্যজীবী রয়েছেন যারা প্রতিদিন নৌকো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাছ ধরতে। খুব ভোর থেকেই শুরু হয় মাছ ধরার কাজ। নদীতে জাল ফেলা থেকে শুরু করে জল থেকে জাল তোলা এবং মাছ সেই জাল থেকে ছাড়ানো- সবকিছুই ক্যামেরাবন্দি করা হল। নিমিষেই প্রচুর বোরলী মাছ উঠে আসছে জালে। এ যেন প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার মত দৃশ্য।

তিস্তা পারের বাসিন্দা মৎস্যজীবী তথা কৃষক নিশিকান্ত রায় বলেন, কৃষিকাজ প্রধান জীবিকা হলেও দীর্ঘদিন থেকেই তিনি মাছ ধরেন ও বাজারে বিক্রি করেন। জালে এই মুহূর্তে বোরলি মাছই বেশি উঠছে। পাইকারি ৪০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছেন। খুচরো মূল্য ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান। স্থানীয় ও শহর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এখনো এই মাছের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বলে জানান নিশিকান্তবাবু।
