নিজস্ব প্রতিবেদন, জলপাইগুড়ি : নববর্ষ মানেই নতুন খাতা—হালখাতা। বছরের প্রথম দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্মীপুজো করে নতুন খাতায় লেখা শুরু করার রেওয়াজ আজও অনেক জায়গায় অব্যাহত, যদিও কম্পিউটার আর মোবাইল অ্যাপে ডেটা রাখার এই যুগে সেই ঐতিহ্যে লেগেছে ডিজিটালের ধাক্কা।

জলপাইগুড়ি শহরের পুরনো ব্যাবসায়ী মহম্মদ আবীর হোসেন জানাচ্ছেন, চার দশক ধরে তিনি তৈরি করে চলেছেন হালখাতার জন্য সেই বিশেষ খাতা। এই পেশায় তাঁর বাবাও ছিলেন, আর এখন তাঁর হাতে সেই দায়িত্ব। “আগে যেভাবে দোকানপাট থেকে চাহিদা আসত, এখন আর হয় না। তবু কিছু পুরনো দোকান এখনও এই খাতা কেনেন,” বললেন আবীর।

অন্যদিকে, পয়লা বৈশাখের আগেই খাতা কিনতে এসেছেন তাপসী দাস। তিনি বলেন, “আমি প্রতি বছরই নতুন খাতা নিই। এটা শুধু হিসাব রাখার জন্য নয়, শুভ সূচনার প্রতীক বলেই নিই।”
যুগ বদলেছে, ব্যবসা বদলেছে, হিসাব রাখার ধরন বদলেছে। কিন্তু একটা জিনিস এখনও টিকে আছে—নববর্ষে শুভ সূচনার জন্য নতুন খাতায় প্রথম লেখার মধ্য দিয়ে এক অদ্ভুত মানসিক শান্তি। আর সেই শান্তির শরিক আজও আবীর হোসেন, তাঁর খাতা, আর সেই পুরনো গন্ধে ভরা কাগজের পাতা।