সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৯ আগস্ট : এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ তিন চারদিন ধরে আগলে রেখেছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের কলেজপাড়া এলাকায়। দুর্গন্ধ ছড়াতেই পড়শিদের অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধার করল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম অজিত কর্মকার (৮০)। অজিত বাবু অবসরপ্রাপ্ত ব্যারেজের কর্মী ছিলেন। আত্মীয় পরিজন ও পড়শিদের অভিযোগ, অজিত বাবুকে খুন করে বাড়িতে দেহ রেখে দিয়েছিল স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার ও মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার। পড়শিদের দাবি, অজিত বাবুর বাড়িতে কেউ যাতায়াত করতেন না অজিত বাবুর স্ত্রী ও মেয়ে। বেশ কয়েকদিন থেকে দোতালা বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ ছিল। এ দিন দুর্গন্ধ ছড়াতেই সন্দেহ হয় সকলের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মৃতের দুই বোন গীতারানী কর্মকার ও রমা কর্মকার। পুলিশ ও ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকনাথ দাসের উপস্থিতিতে ঘর থেকে অজিত বাবুর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, অজিত কর্মকারের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার চালাত মেয়ে ও স্ত্রী। বাইরের কারো সাথে অজিত বাবুকে দেখা করতে দিত না। অজিত বাবুর বোন রমা কর্মকার জানান, প্রায় এক বছর যাবৎ তিনি দাদাকে দেখেন নি। বারবার দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফোন করলেও কেউ ফোন ধরতো না। দাদাকে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া দিত না বলে অভিযোগ করেন রমা দেবী।

অপরদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর তারকনাথ দাস জানান, এই বাড়িতে কেউ যাতায়াত করতো না। দুর্গন্ধ পেয়ে আমাকে ফোন করে। তিনি বলেন, অজিত বাবুর স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন তার স্বামী গতকাল ফাঁসি দিয়েছেন। কিন্তু মৃতদেহ থেকে যেভাবে দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল তা দেখে গতকালের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। এমন ঘটনা জলপাইগুড়ি শহরে আগে কখনো ঘটেনি।