বন্ধ হলো চা পাতা তোলার কাজ; চিন্তায় চা পাতার কাজে যুক্ত কয়েক হাজার শ্রমিক

জলপাইগুড়ি : উত্তরবঙ্গে চা পাতা তোলার মরসুম শেষ! মাথায় হাত চা শ্রমিকদের। এবছর আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় চা উৎপাদন প্রত্যাশিত পরিমাণে হয়নি। এতে উৎপাদন কমে গেছে বহু পরিমাণে। বলাই যায়, চা শিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং চা শ্রমিকদের অর্থ উপার্জনের পথ বড় ক্ষতি।

নভেম্বর মাসের 30 তারিখ আসামের সাথে এবারই প্রথম বার উত্তরবঙ্গে চা পাতা তোলার মরশুমের শেষ হয়েছে। গত বছর চা পাতা তোলার শেষ দিন ছিল আসামে ডিসেম্বরের 5 তারিখ আর উত্তরবঙ্গে 23 তারিখ। ক্ষুদ্র চা চাষীদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে ডিসেম্বরের 20 তারিখ পর্যন্ত ভালো চা পাতা থাকে, এবার অনেক আগেই চা পাতা তোলা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন তারা। এমনিতেই এ বছরের চা উৎপাদন নিয়ে হতাশা কাটাতে পারছেন না ক্ষুদ্র চাষীরা। আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায়, ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা পাতা তেমনভাবে পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, চা উৎপাদন এই বছর গত বছরের তুলনায় কম হবে বলে অভিযোগ।

গত বছর ডিসেম্বর মাঝামাঝি চা পাতা তোলার সময়সীমা শেষ হলেও, এবছর আবহাওয়া অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎপাদন ব্যপকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি, চা পাতার মানও আশানুরূপ হয়নি। এর ফলে, বাজারে চায়ের দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেলেও, তা শ্রমিকদের আয়ের উপর তেমন প্রভাব ফেলেনি। চাষিরা আশা করেছিলেন যে শেষ মুহূর্তে কিছুটা বৃদ্ধি হতে পারে, তবে সে আশাও পূর্ণ হয়নি। এবার থেকে আগামী বছর পর্যন্ত চা পাতা তোলার অপেক্ষায় থাকতে হবে উত্তরবঙ্গের চাষিদের। স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের রুজি-রোজগারে টান পড়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর তরফ থেকে দাবি উঠেছে, টি বোর্ডের তরফে যেন চা পাতা তোলার মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়িয়ে দেয়। এতে শ্রমিকরা অন্তত কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারে। ডুয়ার্সের চা শিল্পে এই সংকট কিভাবে কাটবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল এখন চিন্তিত। তবে শ্রমিকরা দ্রুত সমাধানের আশায় দিন গুনছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *