সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৪ নভেম্বর : এক সপ্তাহে তিনটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠে জলপাইগুড়ি শহরে। চুরি হয় সোনা, টাকা। সঙ্গে বাড়ির দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। চুরির পর প্রত্যেক বাড়িতে সিনেমার কায়দায় চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ ফিরে পাওয়ার জন্য লক্ষাধিক টাকা দাবি করে দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ চুরি হওয়া পরিবারের। টাকা দিতে না পারলে সোনা দিলেও নেওয়া হবে- সেটাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এক বাড়িতে পর পর তিনটি চিঠি দেওয়া হয়। এরকম অভিযোগ পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযানে নামে। অবশেষে চিঠি দিতে আসা এক টোটো চালককে জেরা করে মূল দুষ্কৃতী সুদীপ রায়কে গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। ধৃত যুবক ওয়াকারগঞ্জের বাসিন্দা। এর আগেও একাধিক অসামাজিক কাজ, গাড়ি অপহরণ করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ধৃতকে জেলা আদালতে তুলে পাঁচদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি শহরের ওয়াকারগঞ্জ, টোপামারি ও রায়কত পাড়ায় তিনটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠে। চুরির ঘটনায় জানালা কিংবা দরজা ভেঙে দুষ্কৃতী’র দল সোনা, টাকা চুরি করার পাশাপাশি বাড়ির দলিল, জন্মের শংসাপত্র, চাকরির নিয়োগপত্র, আধার ও ভোটার কার্ড সহ প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে যায়। তদন্তে নামে সাদা পোশাকের পুলিশ। চিঠি দিতে আসা এক টোটো চালককে গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্ত সুদীপকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। সুদীপকে লাগাতার জেরা করা হলেও মুখ ও বধিরের অভিনয় করে দাবি পুলিশের। এরপর সুদীপের পরিবারের সাহায্য নেয় পুলিশ। পরে চুরি ও চিঠি দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করে সে। এ প্রসঙ্গে উত্তর রায়কত পাড়ার বাসিন্দা বিউটি রায় বলেন,” এরকম ঘটনা আগে দেখিনি ও শুনিনি। এ যেন পুরো হিন্দি সিনেমা। জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, সুদীপ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
