সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : সরকারি কর্মচারীদের দলীয় কাজে অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান বিজেপির। নইলে আদালতে যাবার হুমকী বিজেপির।

বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি টুইট’কে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক মহলে। এই টুইটে শুভেন্দু যা লিখেছেন তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় – ‘পিসি’ এখন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য টিএমসি (আঞ্চলিক পার্টি) প্রার্থীদের প্রাথমিক নির্বাচন পরিচালনা করতে কেবল পুলিশই নয়, সরকারি কর্মচারীদেরও ব্যবহার করছে।
পিসি-ভাইপো জোটের আঞ্চলিক দলের প্রাথমিক নির্বাচনে ব্যক্তিগত কর্মী হিসেবে কাজ করা সরকারি কর্মচারীদের তালিকা দেখুন। কি পরিহাস সরকারী কর্মচারীদের, যারা ডিএ না দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তাদের বদলি করা হচ্ছে এবং অন্যান্য সরকারী কর্মচারীদের কে ক্রাউন প্রিন্সের মজা এবং খেলার জন্য পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শুভেন্দু অধিকারীর করা এই টুইটটি’তে গত ২৯ এপ্রিল জলপাইগুড়িতে তৃনমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি ছিল। তার সঙ্গে ছিল গোপন ব্যালটের মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী চয়ন প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ায় দলীয় নির্দেশ জারি করে জেলা শাসকের অধীনস্থ ৪৯ জন সরকারি কর্মচারী গোপন ব্যালটের ভোটে অংশ নেয় বলে নামের তালিকা প্রকাশ করে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যার মধ্যে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে জেলা শাসকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের নাম রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে, বুধবার বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি বুবাই কর এর তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্য সরকারের সার্ভিস রুল ভেঙেছেন এই সরকারি কর্মচারীরা। জেলা শাসকের কাছে আমাদের আবেদন তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। অন্যথায় আমরা আইনের পথে যাবো।

বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সভাপতি সঞ্জয় সিং রায় বলেন, এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমাদের বদনাম করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ বিজেপি আনছে।