মাল নদীর বিসর্জন ঘাটে মর্মান্তিক ঘটনা, কার্নিভাল বন্ধ করার দাবী উঠলো জলপাইগুড়িতে

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ অক্টোবর : দুর্গা পুজোর কানির্ভ্যালকে ঘিরে সাজ সাজ রব জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডে। মঞ্চ তৈরীর পাশাপাশি চলছে শহর জুড়ে জেলা প্রশাসনের মাইকিং। অন্যদিকে গতকাল মালবাজারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে জলপাইগুড়িতে আয়োজিত কার্নিভাল বাতিলের আবেদন জানিয়ে এদিন জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানালেন জলপাইগুড়ির সাহিত্যিক, শিল্পী ও বিশিষ্ঠজনেরা।

There was a demand to stop the Puja carnival in Jalpaiguri

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার মাল মহকুমার মাল নদীতে বিসর্জনের ঘাটে হঠাৎ আসা হরপা বানে ঘাটে আসা সাধারণ মানুষ ভেসে যায় এবং ঘটনাস্থলে প্রায় ৮ জন ব্যাক্তির মৃত্যু ঘটে এবং কিছু মানুষ এখনো নিখোঁজ বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।

এবিষয়ে সাহিত্যিক ও সম্পাদক গৌতম গুহ রায় বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সামনে এক শোকবহ সময়কে হাজির করেছে। এই শোকের দিনে উৎসব আয়োজন অমানবিক হবে। তাই আমাদের আবেদন আগামীকালের নির্ধারিত কার্নিভ্যাল বন্ধ রাখা হোক। জেলার এক অংশে এমন মর্মান্তিক ঘটনা, অনেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বহু দপ্তর আছে আগাম পূর্বাভাস দেয়, তাছাড়া অষ্টমী থেকেই বৃষ্টি চলছিল। এরপরেও কি করে প্রশাসন নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। অতীতের এমন একটি কালো ইতিহাসের স্মরণ করে সাংস্কৃতিক কর্মী, লেখক গৌতম বাবু বলেন, ১৯৬৮ সালে তিস্তার জল বাড়ছে সেই সতর্কতা যাদের কাছে ছিল, তারা সেটি জলপাইগুড়ি শহরবাসীকে না জানিয়ে শিলিগুড়ি চলে গিয়েছিল, যার প্রতিদানে হাজার হাজার মানুষকে ১৯৬৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর তিস্তার বন্যায় মরতে হয়েছিল।

অপরদিকে কার্নিভালে আমন্ত্রিত জেলা কংগ্রেস নেতা তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর অম্লান মুন্সী ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের কাছে ই-মেলে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, এমন বেদনাদায়ক অবস্থায় শুক্রবারের কার্নিভালে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তিনি লিখিত ভাবে জেলা শাসকের কাছে কার্নিভ্যাল বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন বলে অম্লান বাবু জানান।

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *