সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩০ নভেম্বর’২৩ : দীর্ঘদিনের যুব জেলা সভাপতি সৈকত চাট্যাজিকে সরানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির নতুন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন বানারহাট ব্লকের চামুর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সন্দীপ ছেত্রীকে। সদ্য জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব প্রাপ্ত সন্দীপ ছেত্রী বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে (তৃণমূলের প্রস্তুতি সভায়) যোগ দিতে শহর জলপাইগুড়িতে আসেন।

এদিন জলপাইগুড়িতে এসে সংবাদ মাধ্যমের করা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই নব নিযুক্ত যুব সভাপতি বুঝিয়ে দেন, পদে নতুন হলেও রাজনীতির ময়দানে তিনি পাকা খেলোয়াড়। চামূর্চির মতো জেলার এক প্রান্তিক অঞ্চল থেকে জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে এমন অভিযোগ ও উড়িয়ে দিয়ে সন্দীপ ছেত্রী বলেন, এক সময় আলিপুরদুয়ার জেলার সৌরভ চক্রবর্তী জলপাইগুড়ি জেলা তৃনমূলের সভাপতির দায়িত্ব সামলিয়েছেন তিনি পারলে আমি কেন পারবো না? আমাদের দল মা মাটি মানুষের দল, জেলার ষোলোটি ব্লকের যুব নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করবে যুব তৃণমুল কংগ্রেস। প্রয়োজনে দুদিন জলপাইগুড়ি সদরে থেকে কাজ করবো বলে তিনি জানান। কে কি বললো সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই ! দল যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা পালন করাই মূল লক্ষ্য বলে জানান সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত যুব নেতা সন্দীপ ছেত্রী।

অন্যদিকে প্রাক্তন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চাট্যাজি বলেন দলের যুব সংগঠনের পদে থাকতে গেলে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স হতে হয় কিন্তু আমার বয়স ৪৫ বছর পেরিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে যুব সংগঠনের পদাধিকারী থাকার কোনও বিষয় নেই তাঁর। যুব সভাপতির বিষয়ে সৈকত জানান নতুন যুব সভাপতি হয়েছেন চামুর্চি অঞ্চলের ছেলে সন্দীপ। ভালো ছেলে! ভালোকাজ করবে আমি বিশ্বাস করি। তিনি আরও বলেন বিজেপির নোংরা রাজনীতি বিরুদ্ধে আমাদের কর্মীদের যে বিপদে ফেলার প্রচেষ্টা! যে কর্মী জেলায় যখনই দিনে কিংবা রাত্রিতে বিপদে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যোর হাত বাড়িয়ে দিবেন তিনি। আগে রাজনীতিতে ১০ ঘন্টা সময় দিতাম এখন ১৪ ঘন্টা সময় দেব। তৃণমূলের প্রস্তুতি সভায় এসে নেতা কর্মীদের মধ্যে এই বার্তাই দিলেন সৈকত বাবু।