সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : হালখাতা শব্দের অর্থ হল চলতি হিসাবের খাতা, নুতন খাতা বা নতুন বছরের হিসাবের খাতা। সামনেই পহেলা বৈশাখ। কম্পিউটার জামানা শুরু হতেই ! ভাটা পড়েছে নববর্ষের খাতার বিক্রি। বৈশাখ মাসের পহেলা তারিখে দোকান কিংবা ব্যাবসা বাণিজ্য যেকোন কর্মশালায় শুভ হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়।

ঐদিন প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধিদাতার পুজোয় শুভ হালখাতা হিসেবে নতুন খাতা ঠাকুরের কাছে অর্পন করা হয়। সেই খাতা পরবর্তীতে ব্যাবসা বা প্রতিষ্ঠানের হিসেব নিকাশের কাজে ব্যাবহার করা হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘ ধরে সেই (খেরিয়া) বা নতুন খাতা জলপাইগুড়ি শহরে একই পরিবার তৈরী করে আসছেন । নাম মহম্মদ সাবির।

তিনি জলপাইগুড়ি শহরেই সস্ত্রীক দুই সন্তান নিয়ে থাকেন বর্তমান এটাই তার পেশা। মহম্মদ সাবির বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমাদের পরিবার এই ব্যাবসা করে আসছে। আগে বাবা খাতা তৈরী করতেন ! এখন আমি তৈরী করি। বর্তমানে ডিজিটালের যুগে এই খাতা বন্ধের পথে।

এক সময় এই খাতার বেশীচাহিদা ছিল। এখন বতর্মানে কম্পিউটার জামানায় চাহিদা কমেছে খাতার। বিভিন্ন দোকান কিন্তু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হিসেব রাখতে এই খাতার ব্যাপক চাহিদা ছিল। এখন আগের মতো বিক্রি হয় না। যারা নিয়ম নিষ্ঠা ভরে শুভ হালখাতা করেন! তাঁরা এই খাতা ক্রয় করেন বলে তিনি জানান।