সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩ জানুয়ারি’২৪ : কোলকাতা সহ অন্যান্য জেলার পর এবার “বাংলায় বিকল্প রাজনীতি”র পোস্টার শহর জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা, থানা মোড়, নয়াবস্তি সহ একাধিক জনবহুল জায়গাগুলিতে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। উল্লেখ্য কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা নিয়ে যেমন ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে শহর জলপাইগুড়িতে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে। গতকাল মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের নয়াবস্তি এলাকায় তৃনমূল পার্টি অফিসের সামনে “বাংলায় বিকল্প রাজনীতি” লেখা, পোস্টার প্রথম চোখে পরে পথ চলতি মানুষের।

এরপরে একে একে থানা মোড় ,স্টেশন রোড, দিনবাজার এলাকা সহ প্রায় সমস্ত জায়গায়। সময়ের সাথে সাথে সাধারন শহরবাসী মুখে মুখে এই পোস্টারের খবর ছড়িয়ে পরে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে শহরে এই ধরণের পোস্টার স্বাভাবিক শাসক দল এবং বিরোধীদের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।

জলপাইগুড়ি শহর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অম্লান মুন্সি বলেন, এই পোস্টার কোলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে আগেই পড়েছে। এটা তৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বহি:প্রকাশ। আসলে ওই দলে যারা এখন গুরুত্ব পাচ্ছেনা। তারাই অন্যান্য দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বিকল্প দল রাজনৈতিক দল গঠন করা যায় কিনা সেটা দেখার জন্যই এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছেন বলেই মনে করছেন তিনি।

এদিকে এই বিষয়ে অনেকটা একই বক্তব্য জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের। তিনি বলেন, যারা তৃনমূল বা কংগ্রেসে জায়গা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিজেপিতে আসার রাস্তাও বন্ধ। তারাই এই ধরণের পোস্টার লাগাচ্ছেন।

যদিও বিরোধী দুই দলের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক তৃনমূল সভাপতি তপন ব্যানার্জী। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী এই বিকল্প রাজনীতির কথা অন ক্যামেরায় বলেছেন। তাহলে ধরেই নেওয়া যায় কংগ্রেসের হতাশাগ্রস্থ নেতা এবং যাদের সাথে বিজেপির যোগাযোগ আছে তারাই এই পোস্টার লাগাচ্ছে। তৃনমূলের মধ্যে কোন অন্ত:দ্বন্দ্ব নেই।