বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা, ১৫ জুলাই’২৩ : বিষ খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের জালে ধৃত স্বামী-সহ তিনজন। নৈহাটির শিবদাসপুর থানার মামুদপুর পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া দাসপাড়ার ঘটনা। মৃতার নাম অনামিকা সরকার ওরফে পিঙ্কি ( ২৭)। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবি করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাপের বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে যেত না বলেই অনামিকার ওপর অত্যাচার করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নৈহাটির দোগাছিয়া দাসপাড়ার বাসিন্দা মন্টু চৌধুরীর সঙ্গে ভাটপাড়া থানার ফিঙ্গাপাড়া বিবেকানন্দ নগরের অনামিকা সরকারের ভালোবাসা করেই বিবাহ হয়েছিল। গত ১০ জুলাই বিকেলে ওই গৃহবধূ বিষপান করেন। পরিবারের লোকজন দোগাছিয়ায় ছুটে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ওকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। একদিন এক হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ভাটপাড়ার ফিঙ্গাপাড়ায় বাপের বাড়িতে চলে এসেছিল ওই বধূ। ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১২ জুলাই ওঁকে কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরদিন ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১২-১৫ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার দাদা অমিত সরকার ওইদিন শিবদাসপুর থানায় স্বামী মন্টু চৌধুরী, শ্বশুর রাজ কুমার চৌধুরী ও শ্বাশুড়ি মঞ্জু চৌধুরীর বিরুদ্ধে আত্নহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন রাতেই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পনের দাবিতে অনামিকার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন মৃতার পরিবার।
