শিলিগুড়ি: চম্পাসারির এটিএম লুটের ঘটনায় রহস্যভেদ করল প্রধান নগর থানার অ্যান্টি-ক্রাইম ইউনিট। আন্তঃরাজ্য কুখ্যাত ‘মেওয়াত গ্যাং’-এর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। হরিয়ানার নুহূ জেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসরাইল, জাভেদ খান ও মোহাম্মদ খুশিদ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।

শিলিগুড়ির এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় তদন্তের পরিসর ছড়িয়ে পড়ে হরিয়ানার সীমান্ত পর্যন্ত। সেখান থেকেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়িতে আনা হয়, বাকি দু’জন ধরা পড়ে সেবক লাগোয়া জঙ্গল এলাকা থেকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও কিছু প্রয়োজনীয় আলামত।

তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য— এদের সক্রিয়তা শুধু এটিএম বা সোনার দোকানে সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন রাজ্যে লুটপাটে জড়িত এই চক্রের পিছনে রয়েছে বিস্তৃত যোগাযোগ ও পরিকল্পনা। এখন দেখার পুলিশ এই গ্যাংয়ের বাকিদের খুঁজে বের করতে কতটা তৎপর হয়।
আইসি বিডি সরকার বলেন, “এই চক্রটিকে ধরতে আমাদের বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। দুঃখজনকভাবে ব্যাংকের তরফে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়েই এফআইআর করাতে হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় বারবার বাধা এসেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায়।”
ট্রাফিক ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানান, “এখনও পর্যন্ত তিনজন ধরা পড়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কেউ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সম্প্রতি শিলিগুড়িতে একটি সোনার দোকানে ঘটে যাওয়া দিবালোকে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গেও এই লুটের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে— কোথায় নিরাপত্তা? এটিএম-এ লুট, সোনার দোকানে ঢুকে বন্দুকের ভয়… শহরের বুকেই কি এবার নিরাপত্তাহীনতা চরমে? তবে পুলিশের আশ্বাস— এই ধরণের আন্তঃরাজ্য চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হবে, এবং শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।