ধুপগুড়ি : ধুপগুড়ি তথা জলপাইগুড়ি জেলার গর্ব তিথি রায় কার্জী। ‘সা রে গা মা পা’য় মঞ্চ কাঁপানো গান গেয়ে এখন আট থেকে আশি সকলের মুখে মুখে এখন একটাই নাম তিথি। জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম দক্ষিণ গোসাইর হাটের ঝালটিয়ার হাটের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মধ্যবিত্ত পরিবারের কার্জী বংশধরের উজ্জ্বল নক্ষত্র তিথি রায় কার্জী। বাবা করুণাময় রায় কার্জী একটি গালামাল দোকানের ব্যবসায়ী, মা স্বর্নলতা রায় কার্জী গৃহবধূ। তিথির বয়স মাত্র চৌদ্দ আর এই বয়সে কোকিল কন্ঠি কন্ঠ নিয়ে সারেগামাপা’র মঞ্চে লোকসংগীত গেয়ে মাতিয়ে তুলেছে গোটা বাংলা তথা ভারতবর্ষ। জন্মের পরেই যখন থেকে কথা বলতে শিখেছে তিথি ঠিক তখন থেকেই বাংলার মাটি বাতাস সবকিছু নিয়ে গানের সুর যেন তার শরীরে লেগে রয়েছে। ছোট থেকে ভাওয়াইয়া গানের সুরে সবাইকে মাতিয়ে তুলেছে ছোট্ট তিথি। ছোট থেকে সঙ্গীতের সাথে যুক্ত পরিবারে বড়ো হচ্ছে সে। ছোট বেলায় বাবার কাছেই হাতেখড়ি তিথির। এরপর উত্তরের বিশিষ্ট শিল্পী ক্ষীরোদ সরকার এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা নেয় শিল্পী আনন্দ দেব শর্মার কাছে। তবে তিথি যেখানেই গেছে মানুষের মন অনায়াসে কেড়ে নিয়েছে সুরেলা জাদু দিয়ে। কোথাও গিয়ে পিছুপা হয়নি তিথি। এমনি করে আজকে পৌছে গেছে সারেগামাপা’র মঞ্চে। যেখানে যাওয়াটাই সবার পক্ষে সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে সারেগামাপা’র মুল পর্বে গিয়ে মঞ্চ কাঁপিয়ে দিয়েছে ধুপগুড়ির গর্ব তিথি রায় কার্জী । তিথি স্থানীয় পূর্ব মল্লিক পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর নবম শ্রেণীর ছাত্রী। জানা যায় কিছুদিন আগে তিথি কোচবিহারে গিয়ে সারেগামাপার অডিশন দেয়। এরপরে তিথির কাছে ফোন আসে কলকাতায় যাওয়ার। আর দেরি না করে বাবাকে নিয়ে ছুটে যায় কলকাতায়। সারেগামাপা’র মূল পর্বে গিয়ে বিখ্যাত শিল্পী জাভেদ আলীর সঙ্গে গান করে তিথি। তিথির বাবাই জি বাংলার মঞ্চে তিথির গলায় মেডেল পরিয়ে দেন এবং তিনি গর্বের সাথে রাজবংশী ভাষায় বলেন, মেয়েদের কেউ অবহেলা করবেন না। ঠিকমতো মানুষ করলে তারাই রত্ন হয়। তবে তিথির এই সাফল্যে খুশি এলাকার গ্রামবাসী সঙ্গে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং সহপাঠীরা। এর মধ্যে সে দশ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে এলে তার প্রিয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাকে সংবর্ধনা দেয়।
