সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম আকর্ষণ এবং শিশুদের মুক্তাঙ্গন তিস্তা উদ্যান। যার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের উদ্যান ও কানন শাখার। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য উদ্যানের জায়গা ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উদ্যান ও কানন বিভাগ।

তবে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার যে মা ভবানী তা ইতিমধ্যেই জেনেছে রাজ্যবাসী। এবার রাজস্ব বা আয় বাড়াতে জলপাইগুড়ি শহরের এই অন্যতম আকর্ষণীয় পার্কটি সহ জেলার আরো তিনটি পার্ককে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। আর এতেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বৃহস্পতিবার বন দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা সিপিআইএম দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করার পাশাপাশি তিস্তা উদ্যানের প্রবেশ মুখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক সেই পার্কে সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে বাড়ি, জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করলে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হবে এবং পার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি শহরের সুস্থ সংস্কৃতির পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে বলে অভিযোগ।

এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা বিপুল স্যানাল জানান, রাজ্য সরকার শিশুদের বিকাশের অধিকার কেড়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে। তিস্তা উদ্যানে শিশু থেকে বয়স্করা আসেন। এখানে সামাজিক অনুষ্ঠান কোন ভাবেই করা যাবে না। এই প্রতিবাদ জানিয়ে দাবিপত্র তুলে দেওয়া হল।

জলপাইগুড়ি তিস্তা উদ্যানের রেঞ্জ অফিসার মানিক রাউত বলেন,” ১জানুয়ারি থেকে পার্কে সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। আজকে সিপিএমের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিলেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দাবি তুলে দেব।”