‘নিখোঁজ’ ছাতার গুঁতোয় জলপাইগুড়িতে তোলপাড় স্কুল

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : নিজের সাধের ছাতা চুরির অভিযোগ তুলে স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীকে চোর অপবাদ দেওয়া স্কুল শিক্ষিকাকে নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম জলপাইগুড়ি শহরে কদমতলা গার্লস স্কুলে। মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসে জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। অভিযোগ, কদমতলা গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিক দুই বছর আগে স্কুলের ভিতর থেকেই নিজের ছাতা হারিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন। কিন্তু গত ২রা ডিসেম্বর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলার সময় হঠাত্‍ই সেই পুরোনো কথা টেনে এনে ছাত্রীদের সামনে চোর অপবাদ দিয়ে অপমান করেন স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মী পম্পা ভৌমিককে। পরবর্তীতে স্কুল শিক্ষিকারা তাকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে স্কুলে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে প্রধান শিক্ষিকা, পরিচালন সমিতির সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওই শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীও। সেই বৈঠকে শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিককে বলা হয়, তাঁর অভিযোগের সাপেক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে, অথবা শিক্ষিকা পম্পা ভৌমিকের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে। অভিযোগ, ভুল স্বীকার করতে অস্বীকার করেন ওই শিক্ষিকা। এরপরই ওই ঘরে  বাক্য বিনিময় শুরু হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে কোতোয়ালি থানা থেকে আসে পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগ মিথ্যা। পম্পা ভৌমিক অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মী। তিনি অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষিকা ঠিকমতো স্কুলে  আসেন না। স্কুলে আসলেও ক্লাস না করিয়ে স্টাফ রুমে চুপচাপ বসে থাকেন।  এমনকি প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, তিনি এটেনডেন্স খাতা চুরি করে সই করেন। বিষয়টি নিয়ে বারবার উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।

অভিযোগকারিনী সেই গ্রুপ ডি কর্মী পম্পা ভৌমিক জানান, ওই দিদিমণি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে। এটা মেনে নেওয়া যায়না। তাঁর কাছে প্রমান চেয়েছিলাম, তিনি দিতে পারেননি। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে তিনি কোর্টে যাবেন বলেও জানান পম্পা দেবী।

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

আর শিক্ষিকাদের এই কান্ড দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান স্কুল পড়ুয়ারা। অনেকের দাবি, স্কুল শিক্ষিকাদের যখন এই হাল তখন পড়ুয়ারা শিখবে কি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *