জলপাইগুড়িতে টোটো দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য; চালকের নেশাগ্রস্ত থাকার অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

জলপাইগুড়ি : শহরের কংগ্রেস পাড়া এলাকায় বুধবার দুপুরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর টোটো দুর্ঘটনা। আচমকা দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি খালি টোটো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা দুই মহিলাকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা রাস্তার পাশের গভীর হাইড্রেনে পড়ে যায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন এক মহিলা, যাঁকে স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

সৌভাগ্যবশত, টোটোটিতে যাত্রী না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টোটোটি মূল রাস্তা থেকে আচমকা গলির দিকে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সেটি হাইড্রেনে পড়ে যায়। ঘটনায় চালক অক্ষত থাকলেও, চালকের আচরণ ও দুর্ঘটনার ধরন ঘিরে উঠছে নেশাগ্রস্ত থাকার জোরালো অভিযোগ।

ঘটনার পরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা চালকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে, আশপাশে থাকা অন্যান্য টোটোচালকেরা বাধা দেন। এমনকি চালককে কোনও মন্তব্য না করতেও বলেন তাঁরা। এতে আরও জোরদার হয় সন্দেহ— কিছু লুকোনো হচ্ছে কি না?

এলাকার বাসিন্দা তন্ময় চন্দ এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “শহরে প্রতিদিনই টোটোর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালকদের মধ্যে মাদকাসক্তির প্রবণতা। আজকের দুর্ঘটনাটিও তারই উদাহরণ। প্রশাসনের উচিত এখনই কঠোরভাবে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”

Toto accident in Jalpaiguri; Locals angry over driver's alleged intoxication

একইসুরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস পাড়ারই বাসিন্দা ডলি দত্ত। তাঁর কথায়, “আমরা প্রায়ই দেখি, চালকেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় টোটো চালাচ্ছেন। এতে পথচলতি সাধারণ মানুষ যেমন বিপদের মুখে পড়ছেন, তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। আমরা চাই, চালকদের নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষা করা হোক, পাশাপাশি শহরে টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হোক।”

এলাকাবাসীর একাংশের মতে, অবিলম্বে কঠোর নজরদারি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। টোটোচালকদের আচরণ এবং নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার, প্রশাসন কতটা তৎপর হয়ে এই অভিযোগগুলির তদন্ত ও প্রতিকারের পথে হাঁটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *