জলপাইগুড়ি, ৯ ফেব্রুয়ারি : এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক টোটো চালককে। অভিযুক্ত যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা, যার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার অজুহাতে টোটোয় তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার অভিযোগ হতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ৷ রবিবার তাকে জেলা আদালতের মাধ্যমে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার অনুমতি মিলেছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জানুয়ারি। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এক গ্রামের নাবালিকা স্কুলছাত্রী স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচিত ওই টোটো চালকের গাড়িতে উঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, চালক তাকে বাড়ি না পৌঁছে তিস্তা উদ্যানের নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে চকলেটে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানোর পর ছাত্রী অজ্ঞান হলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়।

শনিবার ছাত্রীর স্কুলব্যাগে একটি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট পাওয়া যায়। মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রী পুরো ঘটনা খুলে বলে। পরিবারের দাবি, “অভিযুক্তই তাকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট দিয়েছিল, যাতে গর্ভধারণের প্রমাণ গোপন করা যায়।” এরপরই জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় পরিবার।

ছাত্রীর দাদু বলেন, “আমার নাতনির সঙ্গে এই নারকীয় কাজ করেছে ওই পশু। আমরা শুধু বিচার চাই… অভিযুক্তের ফাঁসি হোক।”
জেলা আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী সিন্ধু কুমার রায় বলেন, “ধর্ষণের পাশাপাশি POCSO আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করা হবে।”
জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, “অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও প্রমাণ সংগ্রহ চলছে। নাবালিকাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তের প্রকাশ্যে বিচার ও দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।