সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১২ অক্টোবর : জলপাইগুড়ি শহর টোটোগুড়ি হওয়ার উপক্রম। টোটো চালকদের প্রশাসনের দেওয়া আই কার্ড নকলের ছড়াছড়ি বলে অভিযোগ। কোনটা আসল, কোনটা নকল আই কার্ড তা নিয়ে খোদ ধন্দে জলপাইগুড়ি সদর ট্র্যাফিক পুলিশ। পুজোর আগে লাগাম ছাড়া টোটোর দাপটে শহরের যানজট সমস্যা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। এরই মধ্যে গ্রামের একাংশ টোটো চালক শহরে যাতায়াত করার দাবি তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শহরের রাস্তায় টোটো নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ বলে অভিযোগ শহরবাসীর। একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও পুর কর্তৃপক্ষ ও ট্র্যাফিক পুলিশ টোটোর উপরে লাগাম টানতে পারছে না এর জেরে পুজোর আগে এবং পরে যানজটে জেরবার জলপাইগুড়ি শহর।

এই অবস্থায় শহরের রাস্তায় টোটো নিয়ন্ত্রনে এবার টোটো চালকদের বারকোড দেওয়া আই কার্ড চালু করতে চলেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিকের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। দ্রুত বার কোড দেওয়া আই কার্ড চালু করা হবে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার টোটো তো বটেই, তার ওপরে আশেপাশের গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার টোটো ঢুকে যাওয়ায় আরো যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ডিবিসি রোড, মার্চেন্ট রোড, কদমতলা, দিনবাজারে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে শহরবাসীর অনেকদিনের অভিযোগ। সমস্যার সমাধানে পুরসভা পুর এলাকার টোটো চিহ্নিত করতে সাদা নীল রঙ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। একাংশ টোটো চালক পুরসভার মাধ্যমে আলাদা ওই রঙও করিয়েছিলেন। তাতেও টোটো নিয়ন্ত্রণ হয়নি। এরপর শহর ও শহরতলীর টোটো চালকদের চিহ্নিত করে দেওয়া হয় আই কার্ড। সেই কার্ডের নকলে ছড়াছড়ি, নির্দিষ্ট এলাকার বাইরের টোটো চালকদের পকেটে নকল আই কার্ডের ছড়াছড়ি। জানা গেছে এই মুহুর্তে জলপাইগুড়ি শহরে ১৪ হাজার টোটো দৈনিক চলাচল করছে। এই সমস্যার সমাধানে এবার নতুন উপায় করার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান সৈকত চাট্যাজি।