নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২০ মে ২০২২ : এক সময়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিভিন্ন নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হত। কয়েক বছর থেকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এরপরেও বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ বেআইনি বালি ঘাট বন্ধ করতে হবে, এরপরেই সক্রিয় হয়েছে জেলা প্রশাসন। তাতেই বিপাকে পরেছেন ট্র্যাক্টরের মালিকরা। দ্রুত বালি তোলার অনুমতি দিতে হবে এই দাবিতে জেলাশাসক দফতরে বিক্ষোভ করে দাবিপত্র তুলে দিল রামধনু ট্র্যাক্টর ওনার ওয়েলফেয়ার আসোসিয়েশন জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। এদিকে অভিযোগ উঠেছে অধিকাংশ অনুমতি না থাকলেও দেদারে বালি-পাথর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্র্যাক্টরে। পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে একাধিক ট্র্যাক্টর। এই পরিস্থিতিতে ট্র্যাক্টর চালক ও কর্মীদের রুটিরুজিতে টান পরেছে বলে দাবি৷ এই কারণে শুক্রবার মোট পাঁচ দফা দাবি তুলে আন্দোলনে নামলো আসোসিয়েশনের সদস্যরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, আগের মত পাঙ্গা, যমুনা এছাড়া অন্য নদীর থেকে বালি তোলার অনুমতি ও রয়্যালিটি প্রদান করতে হবে। ট্র্যাক্টরে ডাম্পিং বালি, বজরি, ইট ভাঙা, ইট বাড়ি ভাঙার সুরকি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। পুর এলাকায় ট্র্যাক্টর চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে। ট্র্যাক্টরের উপর প্রশাসনিক চাপ বন্ধ করতে হবে। ট্রলির প্রয়োজনীয় কাগজ করার জন্য প্রশাসনিক সাহায্য করতে হবে।
