লোনের প্রলোভনে ফাঁদ! প্রতারণার শিকার রানীনগরের বেসরকারি কর্মী, সাইবার থানায় অভিযোগ

জলপাইগুড়ি, রানীনগর : অনলাইনে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণার শিকার হলেন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে জলপাইগুড়ি সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে।

অভিযোগকারীর নাম প্রসাদ সরকার, রানীনগর এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, কিছুদিন আগে তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে – নিজেকে এক নামী ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়ে জানানো হয়, তিন লক্ষ টাকার লোন সহজ শর্তে দেওয়া হবে। আর্থিক প্রয়োজনে প্রসাদবাবু রাজি হয়ে গেলে ফোন মারফত তাঁকে প্রথমে এক হাজার দুইশো একান্ন টাকা এবং পরে সাড়ে ছয় হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয় “প্রসেসিং ফি” হিসেবে। বিশ্বাস করে তিনি টাকা পাঠান।

এরপর ফের আরও সাড়ে নয় হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় প্রসাদবাবু টাকা পাঠাতে অস্বীকার করেন। তখনই প্রতারকেরা তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করে—বলে, “আপনার নামে তিন লক্ষ টাকার লোন পাস হয়ে গেছে, এখন ইএমআই কাটা হবে।”

বিষয়টি সহকর্মী তপু সূত্রধরের সঙ্গে আলোচনা করে প্রসাদবাবু সোজা চলে আসেন জলপাইগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তারা বলেন, “আমরা চাই না অন্য কেউ এই ধরনের প্রতারণার শিকার হোক। তাই ঘটনাটা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।”

সতর্কবার্তা : অচেনা নম্বর থেকে লোন, পুরস্কার বা ব্যাংক-সংক্রান্ত ফোন এলে ব্যক্তিগত তথ্য বা টাকা পাঠাবেন না। যাচাই না করে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করাও বিপজ্জনক হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *