বিশ্বজিৎ নাথ : হালিশহরের মনসাতলায় এক বিজেপি কর্মীকে বেদম প্রহারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী কার্তিক কর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হালিশহর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলায় এক বাড়িতে বয়স্কদের সঙ্গে বসে তাস খেলছিলেন কার্তিক কর। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের ভৈরব বাহিনী সেখানে এসে কার্তিককে ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

কার্তিকের স্ত্রী শিপ্রা কর জানান, “আমার স্বামী বয়স্কদের সঙ্গে তাস খেলছিল। তখন শ্মশান বিশ্ব এসে ওকে গালিগালাজ করে। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে স্বামী পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শ্মশান বিশ্ব ফোন করে লোকজন ডাকে। তারা মিলে স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। স্বামী একটা বাড়ির খাটের নিচে লুকিয়েও রেহাই পায়নি। খাটের নিচ থেকে টেনে বের করে ফের পেটানো হয়। পরে ভয়ে স্বামী একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সেখান থেকে ওঠার পরও ওকে মারধর করা হয়। আমাকে এবং আমার নাবালিকা মেয়েকেও মারধর করা হয়েছে।”

এই ঘটনার পরে আক্রান্তের পরিবার হালিশহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিজেপির তরফে হালিশহরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রাজা দত্ত বলেন, “২০১৯ সালে কার্তিক বিজেপিতে যোগ দেয়। তারপর থেকেই একাধিকবার ওর ওপর অত্যাচার হয়েছে। শুক্রবার রাতে ওকে বেদম মারধর করা হয়েছে। এখন কার্তিক কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার। তিনি বলেন, “চোরা কার্তিকের রেপুটেশন এলাকায় সকলেই জানে। ওর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে হালিশহর থানার পুলিশ।