জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী এবং প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমুলের বিরূদ্ধে। অভিযোগ মিথ্যে, ওনারা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন জবাব তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের।
সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ জুলাই’২৩ : জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার রানী নগরে সোমবার সকাল থেকেই চলছে পথ অবরোধ, এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা এই অবরোধ করে। উল্লেখ্য, রবিবার রানী নগর বামন পাড়া বুথের বিজেপি দলের সহ সভাপতি অমর রায়ের ছেলে রাহুল রায় কোতোয়ালি থানায় এক লিখিত অভিযোগ করে দাবী করেছেন এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি তথা তৃণমুল কংগ্রেসের এসটি, এসসি, ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস আমার বাবা এবং মাকে অপহরণ করেছে। এরপরেই সোমবার বেলাকোবা অঞ্চলের রানীনগরের বামনপাড়া এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। এদিকে সপ্তাহের প্রথম দিনেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় থমকে গেছে স্বাভাবিক যাতায়াত। হয়রানির শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশের আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘন্টা পর অবরোধ উঠে যায়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির।
অপরদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি এসটি ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস জানান, অপহরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমরা রাজনৈতিক নেতা। আমরা কেন অপহরণ করবো। ওনারা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন। স্বেচ্ছায় সদলবলে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরাই বোর্ড দখল করব বলে দাবি তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের। বোর্ড গঠন প্রসঙ্গে কৃষ্ণ দাস এর আরো দাবি এই যোগদানের ফলে তৃণমূলের ১৪ টি আসন এখন বেড়ে ১৫টি হল। আর বিজেপি ১৫ থেকে কমে চৌদ্দটি আসন হল। আমরাই বোর্ড গঠন করব।