জলপাইগুড়ি : একদিকে যখন গণনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে, অন্যদিকে তখন উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। স্ট্রং রুমের ইভিএম বাক্সে বন্দী রয়েছে তাদের ভাগ্য। আগামীকাল সেই বাক্স খুললে বোঝা যাবে শেষ হাসি কে হাসলো। তার আগে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বিজেপি তৃণমূল এবং বাম-কং জোট প্রার্থীরা। যদিও জলপাইগুড়িতে মূল লড়াই দ্বিমুখী অর্থাৎ বিজেপি-তৃণমূল ।

তবে বামপ্রার্থী কত শতাংশ ভোট কাটেন তার ওপরও যুযুধান দুই দলের প্রার্থীর ভাগ্য কিছুটা নির্ভর করছে। তবে ফলাফল নিয়ে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি ভবনে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ভবনগুলি সোমবার ঘুরে দেখেন জয়ন্ত বাবু। তার দাবি, জয় তো নিশ্চিত বটেই, বাড়বে ব্যবধানও।

প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১লক্ষ ৮৪ হাজার ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। যদিও তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়ের দাবি, এবার হাওয়া ঘুরে গেছে, জিতবেন তিনিই। সোমবার খোস মেজাজেই দেখা গেল জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে। এদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা করে নিত্যদিনের মতোই যান ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে। এই কলেজেরই তিনি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক।

বর্তমানে ধূপগুড়ির তৃনমুল বিধায়কও তিনি। কলেজে গিয়ে দেখা করেন সহকর্মীদের সাথে। আড্ডা দেন ছাত্র ছাত্রীদের সাথেও। সেখান থেকে সোজা চলে যান নিজের আদি বাসভূমি বামনটারি গ্রামের বাড়িতে। সেখানে মা’কে প্রনাম করে চলে যাবেন জলপাইগুড়ি। এদিন তৃনমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় জানান, নিজের জেতার ক্ষেত্রে তিনি ১০০ শতাংশ আশাবাদী। তাই হারজিত নিয়ে ভাবছেন না। তবে যেই জিতুক না কেন শান্তি শৃঙ্খলা যেন বজায় থাকে সেই আবেদনও করেন নির্মল বাবু।