নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : পুর নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড়। এই সবুজ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বিরোধী শিবির। জলপাইগুড়ির তিনটি পুরসভা, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও মালবাজারেও সবুজ ঝড়ে ধরাশায়ী বিরোধীরা। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টির মধ্যে ২২টিতে, ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৭টির মধ্যে ১৬টিতে আর মাল পুরসভার ১৫টির মধ্যে ১৪টি আসনে বিজয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।

বুধবার জলপাইগুড়ি শহরের প্রসন্ন দেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড এবং ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের ভাগ্য গণনা হয়। অন্যদিকে মাল পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা হয় মাল আর্দশ বিদ্যাভবনে। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি DCRC সেন্টারে ছিল চূড়ান্ত ব্যস্ততা ভোট কর্মী ও প্রশাসনের।
পুর নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দিন জলপাইগুড়ি শহরে অবাধে শাসক দলের মদতে ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, ইভিএম ভাঙচুর, লাঠি বাহিনীর তান্ডবের পর প্রতিবাদে সরব হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের সচেতন নাগরিকরা। ভোট গ্রহনে প্রশাসনের ভূমিকায় হতাশ জলপাইগুড়িবাসী। তারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিগত পুর নির্বাচনে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১৫টি আসন।বামফ্রন্ট এবং জাতীয় কংগ্রেস পেয়েছিল ৫টি করে আসন।

বুধবার সকালে প্রথমে জলপাইগুড়ি পুরসভার এক নম্বর এবং দুই নাম্বার ওয়ার্ডের ভোট গণনা শুরু হয়। এক নং ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ন্তী পাল কে ৭৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নিলম চক্রবর্তী শর্মা। জয়ন্তী পাল পেয়েছেন তেরোশো ভোট এবং নিলম চক্রবর্তী শর্মা পেয়েছেন তেরোশো ৭৮ ভোট। ভোটে জিতে খুশি তৃণমূল প্রার্থী নিলম চক্রবর্তী শর্মা। তিনি এই জয়কে মা মাটি মানুষের জয় বলে বর্ণনা করেছেন। এই ওয়ার্ডে ৩য় স্থানে ছিলেন বিজেপির রাজ কমল সাহা, তিনি পেয়েছেন ৮২১টি ভোট। এই ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবাশীষ চক্রবর্ত্তীর প্রাপ্ত ভোট ৩০৬টি।
১ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী কংগ্রেসের জয়ন্তী পাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে, তার ওয়ার্ডে ৮০০ ছাপ্পা ভোট হয়েছে। তৃণমূলের এই জয় তারা মানছেন না, এই জয় অধর্মের।
জলপাইগুড়ি পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পরাজিত করেছেন সিপিআইএম প্রার্থী দূর্বা ব্যানার্জিকে। দুই নম্বর ওয়ার্ড গত পুরসভা নির্বাচনে বামেদের দখলে ছিল। এবার সেই আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। মহুয়া দত্ত বন্দোপাধ্যায় পেয়েছেন ২৯৩৫টি ভোট, আর দূর্বা ব্যানার্জী পেয়েছেন ১৯০২টি ভোট। এই ওয়ার্ডে ৩য় স্থানে ছিলেন বিজেপির তপতী বসাক তন্ত্র, তার প্রাপ্ত ভোট ৬৭২টি। জয়ের পর বিজয়ী প্রার্থী মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় খুশি প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জনগণের এই রায়কে মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী দূর্বা ব্যানার্জি।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্বরূপ মন্ডল। স্বরূপ বাবু পেয়েছেন ২৯২১টি ভোট। ২য় স্থানে বামফ্রন্টের বিকাশ রায় পেয়েছেন ১১৩২টি ভোট। এই ওয়ার্ডে ৩য় স্থানে বিজেপির দেবাশীষ রায়, তিনি পেয়েছেন ৪৮৮টি ভোট।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সারিতা প্রসাদ শা গুপ্তা। সারিতা দেবীর প্রাপ্ত ভোট ১৫০১টি। এই ওয়ার্ডে বিজেপির দুর্গা ঝা’র প্রাপ্ত ভোট ২০৪টি এবং কংগ্রেসের মীরা শা পেয়েছেন ২৭৪টি ভোট।

জলপাইগুড়ি পুরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সন্দীপ মাহাতো। তিনি পেয়েছেন ১৩৯০টি ভোট। বিজেপির মনোজ কুমার শা পেয়েছেন ২৫১টি ভোট এবং কংগ্রেসের দীপক কুমার প্রসাদ পেয়েছেন ৩১১টি ভোট।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সুব্রত পাল, তিনি পেয়েছেন ৯৩৪টি ভোট। ২য় স্থানে কংগ্রেসের বিশ্বজিৎ সাহা পেয়েছেন ৫৭৯টি ভোট। ৩য় স্থানে বামফ্রন্টের শুভেন্দু সাহা ৩২৮টি এবং বিজেপির শ্যাম প্রসাদ ১৩৩টি ভোট পেয়েছেন।

জলপাইগুড়ি পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের পাপিয়া পাল, তিনি পেয়েছেন ১৬৮৩টি ভোট। এই ওয়ার্ডে বিজেপির টিনা গাঙ্গুলি ৩৮৫টি এবং বামফ্রন্টের মিঠু রায় দাশগুপ্ত পেয়েছেন ২৪৯টি ভোট।
জেতার পর পাপিয়া দেবী বলেন, এই জয় দিদির জয়। নতুন পুরবোর্ডে চেয়ারম্যান হওয়া প্রসংগেভতিনি বলেন, দিদি তাকে যে দায়িত্ব দেবেন তিনি তাই পালন করবেন। অপরদিকে ৭ নং ওয়ার্ডের পরাজিত পার্থী বিজেপির টিনা গাঙ্গুলী হারের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের এই জয় স্বচ্ছ জয় নয়।

জলপাইগুড়ি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন বিগত পুর প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী। সৈকত বাবু পেয়েছেন ১৬৬৬টি ভোট। এই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের অসীম সরকার ২৪৮টি এবং বিজেপির অনীন্দ সরকার পেয়েছেন ১৮৯টি ভোট।
৯ নং ওয়ার্ডে ভোটের আগে সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রমোদ মন্ডল জয়ী হয়েছেন। প্রমোদ বাবুর প্রাপ্ত ভোট ১৭১৪টি। এই ওয়ার্ডে ২য় স্থানে বিজেপির যশোদা ছেত্রী, তিনি পেয়েছেন ১১৩৪টি ভোট আর ৩য় স্থানে বামফ্রন্টের প্রদীপ কুমার দে’র প্রাপ্ত ভোট ৬৩৯টি।
১০ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী তৃণমূলের দীনেশ রাউত পেয়েছেন ১৪৯৩টি ভোট। এই ওয়ার্ডে ২য় স্থানে আছেন বামফ্রন্টের রবি রাসাইলি, তার প্রাপ্ত ভোট ১০৭৯টি এবং বিজেপির সোনম সোনার পেয়েছেন ১৯৫টি ভোট।
১১ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূলের মানসী বিশ্বাস রায়। মানসী দেবী পেয়েছেন ২৪৩৬টি ভোট। এই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের বাবলী মোহন্ত ৭৫৭টি এবং বিজেপির যুথিকা রায় বাসুনিয়া ৭৪৬টি ভোট পেয়েছেন।
১২ নং ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হন তৃণমূলের মনীন্দ্র নাথ বর্মন। এই ওয়ার্ড দীর্ঘদিন কংগ্রেসের দখলে ছিল। মনীন্দ্র নাথ বর্মন পেয়েছেন ১৫৭০টি ভোট। কংগ্রেসের নারায়ণ চন্দ্র সরকার পেয়েছেন ৯২৪টি এবং বিজেপির জয়া সরকার পেয়েছেন ২০৮টি ভোট। জেতার পর তৃণমূল প্রার্থী বলেন, তিনি এই ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড করার লক্ষে কাজ শুরু করবেন শপথ গ্রহণের পর দিন থেকেই।
১৩ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূলের লিপিকা সরকার। লিপিকা দেবীর প্রাপ্ত ভোট ১৩০০টি। এই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের মৌমিতা সেন ৭১৫টি ,এবং বিজেপির গীতা সাহা পেয়েছেন ৩০১টি ভোট।
১৪ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূলের
সন্দীপ ঘোষ। তিনি পেয়েছেন ২২৪৪টি ভোট। জাতীয় কংগ্রেসের বিমল পাল চৌধুরী পেয়েছেন ৮৭৭টি এবং বিজেপির ইন্দ্র জিৎ মানি পেয়েছেন ২৬৩টি ভোট।
শহরের ১৫ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তপন ব্যানার্জী। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তপন বাবু এর আগেও নির্বাচনে কখনো পরাজিত হন নি। জেতার পর তপন বাবু জানান, তিনি এই জয় জলপাইগুড়ি বাসীকে উৎসর্গ করছেন। এই জয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জয়। তারা আগামীতে জলপাইগুড়ির উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। তপন ব্যানার্জী পেয়েছেন ১২৭৮টি ভোট। অন্যদিকে বামফ্রন্টের শুভম সাহা ৬৩৮টি এবং বিজেপির বিপ্লব কুমার সিনহা ১৯৫টি ভোট পেয়েছেন।
১৬ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী তিয়াস সিনহা গোস্বামি। তিয়াস পেয়েছেন ১১৪৮টি ভোট। এই ওয়ার্ডে কংগ্রেসের সুমিত্রা মন্ডল ১০১১টি এবং বিজেপির অঞ্জলি চৌধুরী ১২৩টি ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থী তিয়াস দেবী বলেন, এই জয় মা মাটি মানুষের জয়।
১৭ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মা। দিলীপ বাবুর প্রাপ্ত ভোট ১০৯৯টি। এই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের মিঠুন দাস ৫০১টি এবং বিজেপির সমীর দাস ৪০১টি আসন পেয়েছেন।

১৮ নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বোস। উত্তম বাবু জলপাইগুড়ির প্রাক্তন পুর পিতা মোহন বোসের ভাই। তাকে এবার দল এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিল। উত্তম বোস পেয়েছেন ১২৭৩টি ভোট। এই ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী অসীম কুমার তরফদার পেয়েছেন ৫৮২টি ভোট, বামফ সুব্রত মিত্র ১৪১ এবং বিজেপির অঙ্কুর দাস, তার প্রাপ্ত ভোট ১৩৪টি। জেতার পর উত্তম বাবু জানান, এই জয় মোহন বোসের জয়। এই ওয়ার্ডের অসমাপ্ত কাজগুলো তিনি আগে সম্পন্ন করবেন।
১৯ নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী
লোপামুদ্রা অধিকারী, তিনি পেয়েছেন ১৮০৯টি ভোট। অপরদিকে এই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের খগেশ্বর রায় প্রামানিক ৭০১ এবং বিজেপির কৃষ্ণা ভৌমিক ২৫৪টি ভোট পেয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
২০ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী হলেন জাতীয় কংগ্রেসের শুভ্রা দেব। তিনি পেয়েছেন ১৩৬৩টি ভোট । তৃণমূলের সুনীতি সরকার পেয়েছেন ১০৫৬টি এবং বিজেপির অনিতা মৌলিক পেয়েছে ৫৬৬টি ভোট। তৃণমূলের ঝড়ের মাঝে এই প্রথম বিরোধীরা একটি আসনে জয় লাভ করলো।
২১ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের
তারক নাথ দাস। তিনি পেয়েছেন ১১৩৫টি ভোট। এরপর রয়েছে বামফ্রন্টের সৌমিক ভৌতিক ৯৪৬টি, নির্দল প্রার্থী নব্যেন্দু মৌলিক ২৬৩টি ভোট এবং বিজেপির সুব্রত চক্রবর্তী ১৮৬টি ভোট পেয়েছেন।
২১ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের পিঙ্কু বিশ্বাস, তার প্রাপ্ত ভোট ১১২৯টি, এই ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত, তিনি পেয়েছেন ৯৮৩টি ভোট এবং বিজেপির জীবেশ দাস পেয়েছেন ৭৫টি ভোট।

জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন বামফ্রন্টের সঞ্চিতা পঞ্চানন ধর। এবার পুরসভার ২৫টা ওয়ার্ডের মধ্যে সঞ্চিতা দেবী একমাত্র বিজয়ী বাম প্রার্থী। সঞ্চিতা দেবী পেয়েছেন ১৪০২টি ভোট। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের সুজাতা সরকার বর্ধন পেয়েছেন ৫৬৪টি এবং বিজেপির পারমিতা সরকার ৮৭টি ভোট।

ওয়ার্ড নং ২৪ এ বিজয়ী হয়েছেন আরো এক কংগ্রেস প্রার্থী অম্লান মুন্সি, তার প্রাপ্ত ভোট ২০১৮টি। তৃণমূলের পল্লব দাস ৮১১টি এবং বিজেপির দেবাশীষ চক্রবর্তী ১৮২টি ভোট পেয়েছেন।
২৫ নং ওয়ার্ডে বহুদিন পর আবার বদল হল। কংগ্রেসের এই ওয়ার্ড এবার দখল করলো তৃণমূল কংগ্রেস। এই ওয়ার্ডে জয়ী হন পৌষালি দাস সরকার, তিনি পেয়েছেন ১৬৫৮টি ভোট। কংগ্রেসের শুভ্রা বর্মন মালোদাস ১৩৯৭টি এবং বিজেপির কৃষ্ণা রায় বর্মন ৩৯৬টি ভোট পেয়েছেন।

জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের এই বিপুল জয় প্রসঙ্গে রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। এই কারণে তিনটি পুরসভা আমাদের দখলে। উন্নয়নের কাজ হবে।

অপরদিকে তিনটি পুরসভার মধ্যে মাল পুরসভায় একটি ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী। বাকি কোন কোন জায়গায় বিজেপি কোন খাতা খুলতে পারে নি। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তপন রায় বলেন, জলপাইগুড়ির মানুষ যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা তা মাথা পেতে নিয়েছি। আর বর্তমানে যা পরিস্থিতি, ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, মেশিনারি গন্ডগোল ছিল সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাই নি। আমাদের এ জন্য দুঃখ নেই। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।