নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : আগামী রবিবার জলপাইগুড়ি পুরসভায় ভোট গ্রহণ। তার আগে শেষ পর্বের ভোট প্রচার চলছে শহরময়। সবকয়টি রাজনৈতিক দল সর্ব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই ভোট যুদ্ধে। কিন্তু আজ জলপাইগুড়িতে বিজেপির নির্বাচনী পথসভার মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠলো।
বিজেপির নির্বাচনী পথসভার মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপির নির্বাচনী পথসভার মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপাড়া মোড়ে সামরিক উত্তেজনা ছড়ালো। যদিও তৃণমূলের দাবি, তারাই মাইক বেঁধেছিল, সেখানে তাদের নির্বাচনী পথ সভা হবে। পরে মাইকের কর্মীরা জানায়, তারাই এক জায়গায় দুই দলকে মাইক ভাড়া দিয়েছিল। তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন। পরে দুপক্ষের আলোচনায় উত্তেজনা স্বাভাবিক হয়।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী টিনা গাঙ্গুলীর হয়ে পথসভা হচ্ছিল। বিজেপির দাবি, বৃহস্পতিবার সাড়ে তিনটে থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তাদের সভা করার অনুমতি ছিল। আর তৃণমূলের সভার সময় ছিল ছয়টা থেকে। সেই অনুযায়ী সভা চলছিল। কিন্তু পাঁচটা নাগাদ বিজেপির সভা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন টিনা গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, গায়ের জোর দেখিয়ে আমাদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এরকম কালচার জলপাইগুড়ি শহরে আগে ছিল না।
এদিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তারাই ঘুরে ঘুরে মাইকের কর্মীদের দিয়ে মাইক বেঁধেছিলেন। ওই মাইকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা। এই কারণে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী পুরসভার বিদায়ী চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল।
তৃণমূল নেতা ধরম পাসওয়ান বলেন,” আমরা কারও মাইক বন্ধ করিনি। আমরা মাইক বেঁধেছি সেই মাইকে বিজেপি সভা করছে। আমাদের ছয়টা থেকে সভার অনুমতি।”
যদিও একই জায়গায় দুটো দলকে মাইক ভাড়া দেওয়ার জন্য এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে নিজের ভুল স্বীকার করেন মাইক সংস্থার মালিক অসীম চৌধুরি।
৬ নং ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর ব্যানার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল

প্রায় প্রতিদিনই জলপাইগুড়ি পুরসভার কোন না কোন ওয়ার্ডে প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আসছে। জলপাইগুড়িতে এই ধরনের সংস্কৃতি পূর্বে ছিল না বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের। আজ বিজেপি প্রার্থীর ব্যানার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্যাম প্রসাদ। তিনি জেলা বিজেপির সম্পাদকও। এদিন সকালে প্রচারে বেরিয়ে তিনি লক্ষ করেন প্রচারের জন্য লাগানো তার একাধিক ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কিছু কিছু নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্ধ বিজেপি প্রার্থী ঘটনার নিন্দা করে নির্বাচনে কমিশনে অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের তৃনমুল প্রার্থী সুব্রত পাল জানিয়েছেন, এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত চিহ্নিত করুক প্রশাসন। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কাজ করে না, এই ধরনের কাজকে সমর্থনও করে না।