অবশেষে গ্রেপ্তার তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

ডিজিটাল ডেস্ক : নাটকের যবনিকা পতন। একের পর এক নাটক কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। CBI-এর জালে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা ও তল্লাশি চালানোর পর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ককে।

Trinamool MLA Jibankrishna Saha was finally arrested

জীবনকৃষ্ণকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে দূর্গাপুরের সিবিআই ক্যাম্পে। ওই ক্যাম্পে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। সেখান থেকে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে রওনা দেবেন সিবিআই আধিকারিকরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নে গাড়ির সিটের পিছনে মুখ লুকোতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ককে।

স্বামীকে নিয়ে সিবিআই কর্তারা চলে যাওয়ার কান্নায় ভেঙে পড়েন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘এ কোন জীবন! এই জীবনকে তো আগে কখনও দেখিনি। পরিবার সূত্রে খবর, স্বামী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ঠায় টিভির সামনে বসে রয়েছেন টগরি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।

সূত্রের খবর, পার্থ-কুন্তলকে ছাপিয়ে যাবে তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুর্নীতি। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। মনে করা হচ্ছে ৩০০০ চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে গড়ে ৬ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে দুর্নীতির অঙ্ক চলে যেতে পারে ৩০০ কোটিতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ১০০ জন তৃণমূল বিধায়ক এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন।

অবশেষে পাওয়া গেল জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় ফোন। সোমবার দুপুরে এক শ্রমিক প্লাস্টিকে মোড়া ফোনটি পুকুরের পাঁক থেকে উদ্ধার করেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল ৫:১৫ তে দুটি মোবাইল ফোন বাড়ির পুকুরে ফোন ফেলে দেন বিধায়ক। গতকাল উদ্ধার হয়েছিল একটি ফোন। সিবিআইয়ের দাবি এই ফোনদুটির মধ্যেই আছে নিয়োগ দুর্নীতির বহু গোপন রহস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *