পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে বিরাট ভাঙ্গন; চমকে গেল বাংলা

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : ৭২ দিনেই চিত্রনাট্য বদলে গেলো, যে গ্রামে পাত পেরে দুপুরের আহার করেছিলেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড, সেই গ্রামবাসীরাই তৃনমূল ছাড়লেন দল বেঁধে।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা ব্লক কমিটির মেম্বার সহ শতাধিক তৃণমূল নেতা কর্মীরা দল ত্যাগ করলেন। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লক ১ এর তৃনমুল কংগ্রেস সভাপতিকে লিখিত আকারে পদত্যাগপত্র হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। দোমহানী এলাকায় দলত্যাগ করা কর্মীরা আবেগে ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই শুরু নমিনেশন পর্ব। আর এরই মাঝে রবিবার দোমহানি ১ অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য তথা ময়নাগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক ১ কমিটির সদস্য রবিন ঘোষ সহ এলাকার শতাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা তৃনমুল দল ছাড়লেন।

রবিন ঘোষ

ইতিমধ্যেই রবিন বাবু দলত্যাগের চিঠি ময়নাগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ১ এর সভাপতি মনোজ রায়ের মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এই দোমহানী বাজারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু-দুবার এসে ঘুরে গেছেন। আর এখানেই তৃণমূল দল ছাড়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে।

মনোজ রায়

ঘটনা প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ১ এর সভাপতি মনোজ রায় জানান, পদত্যাগপত্র পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রবিন ঘোষ হলেন ময়নাগুড়ির আদি তৃণমূল নেতা। ২০২২ সালের ১২ জুলাই ধূপগুড়িতে জনসভা করতে যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অভিষেকের কনভয় কে দাঁড় করিয়ে দোমহনী হাটের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। দল থেকে পদত্যাগ করে রবিন ঘোষ জানান, দলে যোগ্য সন্মান পাচ্ছিলাম না, একসময় আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলাম কিন্তু এখন তিনি আমার পাশে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *