জলপাইগুড়ি : এক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ উঠল তৃনমুল নেতা কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে।অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রহ্লাদ রায় নামে এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃনমুল নেতা কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। জমি দখলের পর কৃষ্ণ দাসের গুন্ডাবাহিনীর তাণ্ডবে আতঙ্কিত প্রহ্লাদ রায় অভিযোগ।
অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত বৈরাগী পাড়ার বাসিন্দারা প্রহ্লাদ রায়ের অভিযোগ রানীনগরের চেওড়া পাড়ায় একটি দুই বিঘা জমি আছে। কিছুদিন আগে তিনি দেখতে পারেন তার সেই দুই বিঘা জমি দখল হয়ে গেছে। খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন তৃনমুল নেতা কৃষ্ণ দাস এই জমি দখল করেছেন। এর পরেই প্রহ্লাদ রায় কৃষ্ণ দাসের দারস্থ হন এর পরেই কৃষ্ণ দাস প্রহ্লাদ রায়কে বলেন এই জমি তিনি আর ফেরত পাবেনা। পাশাপাশি কৃষ্ণ দাস প্রহ্লাদকে বলেন ২০লক্ষ টাকা দিচ্ছি জমির কাগজটা কৃষ্ণ দাসের নামে রেজিস্ট্রার করে দিতে বলেন। বায়না নামার সময় ২ লক্ষ টাকা এবং অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষটাকা দেন কৃষ্ণ দাস। বাকি টাকা প্রহ্লাদ চাইতে গেলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়াওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিছুদিন যেতেই কৃষ্ণ দাস বেকে বসেন সেই এই জমি আর নেবেনা৷ প্রহ্লাদকে বলে তার দেওয়া ৭লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েদিতে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ৪৫দিন সময় দেওয়া হয় প্রহ্লাদকে। সেই সময় পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণ দাস ও তার বাহিনী প্রহ্লাদের বাড়ির এলাকায় ৩বিঘা চা বাগান রয়েছে সেই চা বাগানের চারদিকে পাকা পিলার গেড়ে সেই চা বাগান দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে আছেন প্রহ্লাদ রায়ের পরিবার। তিনি কোতয়ালি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
এদিক তৃনমুল নেতা কৃষ্ণ দাস পালটা অভিযোগ করে বলেন প্রহ্লাদ রায় তাকে চিট করেছে।জাল কাগজ দেখিয়ে তার জমি বিক্রি করেতে চেয়েছিল। জমির কাগজ ঠিক নেই দেখে আমি জমি কিনতে রাজি নই। তাই আমার টাকা ফেরৎ দিতে বলেছি। কিন্তু সময় নিয়েই টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না। আমি ৭লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম সেই টাকা ফেরত চেয়েছি। হুমকি, জমি দখলের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।