জলপাইগুড়ি: লোটা দেবী মন্দির সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী পুকুরে পাড় বাঁধানোর কাজ ঘিরে দেখা দিল পরিবেশ রক্ষার প্রশ্ন। এই পুকুরে একসময় প্রচুর ইন্ডিয়ান রুফ টার্টেল পাওয়া যেত, যা ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের প্রথম তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত প্রজাতি।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্পোরের তরফ থেকে লোটা দেবী মন্দিরের পুকুরের পাড় বাধানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য এই পুকুরে এক সময় প্রচুর কচ্ছপ পাওয়া যেত এবং এই কচ্ছপ গুলোকে সংরক্ষণের জন্য স্পোরের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বছর ধরে জনসচেতনতা প্রসার,মেলার সময় পুকুরের জল যাতে দূষিত না হয় সেদিকে নজর রাখা, খরার সময় পুকুরে কৃত্রিম উপায়ে জল সরবরাহ করা সহ একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।কিন্তু তবুও সময়ের সাথে সাথে এখানে কচ্ছপের সংখ্যা কমতে থাকে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে পুকুরের পাড় সংস্কারের কাজ। ফলে ওই পুকুর ছেড়ে কচ্ছপগুলো বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। আজ স্পোরের সদস্য অর্কপ্রভ মজুমদার স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওই পুকুরের বাইরে থেকে একটি ইন্ডিয়ান রুফ টারটেল উদ্ধার করেন এবং পরবর্তীতে সেটিকে করলা নদীতে ছেড়ে দেন। তিনি জানান কচ্ছপের বংশ বিস্তারের জন্য পুকুরের পাড় বাঁধানো ক্ষতিকর। কচ্ছপ সাধারণত পুকুর থেকে উঠে এসে পুকুরের ধারের নরম মাটিতে ডিম পাড়ে। পুকুরের পাড় বাঁধানো থাকলে কচ্ছপ সেখানে ডিম পারবে না, ফলের কচ্ছপের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হবে। লোটাদেবী মন্দিরের এই পুকুর দীর্ঘদিন ধরেই ইন্ডিয়ান রুফ টার্টলের স্বাভাবিক বাসস্থান। তাই উন্নয়নের পাশাপাশি বন্যপ্রাণের স্বাভাবিক বাসস্থান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য স্পোরের পক্ষ থেকে অর্কপ্রভ মজুমদার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান।
➡️ আপনাদের মতামত কী? পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মনে করেন? কমেন্টে জানান!