শিলিগুড়ি : নাগরাকাটার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় আক্রান্ত সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শংকর ঘোষকে দেখতে আজ সকালে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে পৌঁছান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আহত দুই জনপ্রতিনিধির সঙ্গে এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট নেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্তবাবু তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“রাজ্যে এখন আইনের শাসন নেই। মুখ্যমন্ত্রীর ইশারাতেই বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের উপর হামলা হচ্ছে। নির্দিষ্ট আটজনের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এসব ঘটনাকে ছোট করে দেখাতে চাইছেন, কিন্তু এই আক্রমণ গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, “এই ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হবে এবং যারা হামলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলের কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেন, নাগরাকাটার অভিযুক্তদের ছবি পোস্টার আকারে প্রকাশ করতে হবে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে— যাতে জনতা তাঁদের চিহ্নিত করতে পারে।
এরপর জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি পরিদর্শন করেন মন্ডলঘাট, ময়নাগুড়ি, রামসাই ও আমগুড়ির বন্যাদুর্গত এলাকা এবং ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের হাতে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। বিকেলে জলপাইগুড়ি বিজেপি কার্যালয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
রাতেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।