জলপাইগুড়ি : বিজয়া দশমী শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়; এটি অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের স্মরণ। কথিত আছে, আশ্বিন মাসের শুক্ল দশমী তিথিতে রামচন্দ্র লঙ্কার শাসক রাবণকে বধ করেছিলেন। একই দিনে দেবী দুর্গাও মহিষাসুরকে বধ করেন। তাই বিজয়া দশমী অন্যায় ও মন্দ শক্তির পরাজয় এবং সত্য ও শুভ শক্তির জয়কে উদযাপন করার দিন হিসেবে পরিচিত। বাংলাসহ ভারতের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এই দিনটি ধর্ম ও ন্যায়ের বিজয়ের প্রতীক হিসেবে পালিত হয়।
জলপাইগুড়িতে দশমীর মূল আকর্ষণ রাবণ বধ। বাবুপাড়ায় করলা নদীর ধারে বৃহৎ রাবণ তৈরি করে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। বাবুপাড়া রাবণ বধ কমিটির সদস্যরা লোহার ফ্রেমের মাধ্যমে রাবণের শরীরের আকৃতি তৈরি করছেন। প্রতিমাটি আতশবাজি দিয়ে মোড়ানো হচ্ছে, যা রাতের রাবণ বধকে দৃষ্টিনন্দন ও রোমাঞ্চকর করবে। আজ রাতে এই রাবণ বধ অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই জোর কদমে চলছে।
বিজয়া দশমীর এই উদযাপন কেবল পার্বণমুখর নয়; এটি ভালো ও মন্দ, সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের চিরন্তন লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবেও হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকে।