সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৪ নভেম্বর : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সরব বিজেপি। জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মাদারীহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, রাজ্যের পুলিশ সুরক্ষা দিতে পারছে না। আমাদের বিজেপির নেতৃত্ব ও মন্ত্রীদের উপরে প্রায়শই হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ তো বোমা, বন্দুকের ফ্যাক্টরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে মনোজ বাবু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসার উপরে বিশ্বাস করে না, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা সংগঠন কে বুথ স্তর পর্যন্ত মজবুত করবো। সাংগঠনিক দিক দিয়ে আমরা তৃণমূল কে মোকাবিলা করবো। আমরা নমিনেশন করবো, নির্বাচনে যাব। তাতে যদি বিজেপি কে আটকানোর জন্য তৃণমূল আসে তাহলে সর্বশক্তি নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূলের সাথে লড়াই করবো।

মনোজ বাবু জানান, রাজ্যে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তর থেকে শিক্ষক নিয়োগ, এসএসসি, টেট, ১০০ দিনের কাজে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, রাস্তাঘাট – প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়েছে। মানুষ একটা বিকল্প খুঁজছে। সেই বিকল্প হিসাবে মানুষ বিজেপি কে বেছে নিয়েছে। তাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যতই সন্ত্রাস করুক না কেন মানুষ সুযোগ পেলে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে ভোট দেবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রসঙ্গে বিধায়ক জানান, বিজেপির নেতা, কর্মী, সাংসদ, বিধায়ক সকলের উপর বারবার আক্রমন হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি বারবার দুর্ঘটনায় পড়ে। পুলিসকে বারবার বলা স্বত্বেও পুলিশ সুরক্ষার কোন উদ্যোগ নেয় না। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, নিশীথ প্রামানিক সহ বিজেপির বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের ওপর হামলা হয়েছে। পশ্চিম বঙ্গ তো পুরো বোমা বন্দুকের ফ্যাক্টরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের একজন মন্ত্রী (উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন) উষ্কানীমূলক মন্তব্য করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে, স্বভাবতই আমরা ধরে নিতেই পারি যে রাজ্যের শাসক দলের একটা পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির উপর হামলা করার জন্য। আর যতই আমরা অভিযোগ করিনা কেন, অভিযুক্ত ধরা পড়ে না। পশ্চিম বঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এইভাবে যতই আমাদের উপর হামলা করুক না কেন বিজেপির সংগঠন আরো মজবুত হবে। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আর পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। পুলিশকে বলা সত্বেও সুরক্ষার সঠিক কোন ব্যবস্থা করে না।