সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২ আগস্ট’২৩ : পলাতক জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরসভার উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জিকে গ্রেপ্তার করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সৈকতের অবস্থান জানতে সৈকত ঘনিষ্ঠদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্না ভট্টাচার্য ও তার স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। মৃত দম্পতির সুইসাইড নোটে সৈকত চ্যাটার্জি, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, মনোময় সরকার ও সোনালি বিশ্বাসের নাম পাওয়া যায়। অভিযুক্ত চারজনের নামে মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চ্যাটার্জী ২ এপ্রিল কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর একে একে অভিযুক্ত তিনজন গ্রেপ্তার হলেও জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পুরসভার উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জি অধরা। হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন সৈকত। গত ১৬ জুন হাইকোর্টে আগাম জামিন নাকচ হতেই সৈকত পলাতক। তারপর থেকেই পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে। এরপর পলাতক সৈকতের বিরুদ্ধে আদালত ১৮ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইতিমধ্যে দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত এখনো অধরা সৈকত। তাই জোড়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় অন্যতম অভিযুক্ত সৈকতের সন্ধানে মরিয়া পুলিশ।
সৈকত কোথায় তা জানতে বুধবার সৈকত ঘনিষ্ঠ অজয় সাহাকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেই মোতাবেক অজয় জলপাইগুড়ি ডিআইবি অফিসে পৌঁছে যান। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজয় সাহা। এদিন তদন্তকারী অফিসার অজয় সাহা কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের অজয় সাহা জানান, সৈকত কোথায় আছে তা জানার জন্য আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সৈকত কোথায় আছে আমি জানি না। অন্যদিকে সৈকতকে রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে তা আমি জানিয়েছি।