নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা পুর নির্বাচনে দলীয় কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে বুথ সভাপতি থেকে প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো শনিবার জলপাইগুড়িতে। “যেখানে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কাউকেই বাধা দেওয়া হল না, সেখানে ঘরের ছেলেকে (মলয় ব্যানার্জী) কেন বাধা দেওয়া হলো মনোনয়ন পত্র জমা দিতে?” কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে প্রশ্ন তুললেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ। তিনি বলেন, ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে। একজনের মনোনয়ন জমা দেওয়া কে কেন্দ্র করে প্রশাসনের অতিরিক্ত তৎপরতার জন্য মুখ পুড়লো জলপাইগুড়ির। ওই ঘটনার জন্য নির্বাচনের আগে বিরোধীরা একটা ভালো ইস্যু পেয়ে গেছে।

এবার তৃণমূলের টিকিট পাওয়া থেকে মনোনয়ন পত্র জমা এই দুই পর্বেই জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল দলের ভেতরে ও বাইরে। অবশেষে জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা পুর নির্বাচনে দলের কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তীকেই মাঠে নামতে হল সংগঠিতভাবে নির্বাচন লড়ে তৃণমূলকে জয়ী করতে।
শনিবার শহরের একটি সভা ঘরে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের বর্তমান জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ, তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিষয়ক খগেশ্বর রায়, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পুর নির্বাচনের প্রার্থী সৈকত চ্যাটার্জি, টাউন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
এই বৈঠকে জলপাইগুড়ি পুরসভার পঁচিশটি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের পরিচয় করানো হয় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। বৈঠকে উপস্থিত দলীয় প্রার্থী এবং বুথ সভাপতিদের উদ্দেশ্যে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, এই নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করেছেন। জেলা থেকে শুধু মাত্র সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছিল। তাহলে আমি স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনে দলের কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইবো যখন কোনো বিরোধী দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হলো না, তখন আমাদের ঘরের ছেলে মলয় ব্যানার্জী কে কেন এইভাবে বাধা দেওয়া হল?
অপরদিকে এই প্রশ্নের জবাবে পুর নির্বাচনে তৃণমূল দলের জেলার কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তী বলেন , যে ঘটনা ঘটেছে তাকে তৃণমূল দল সমর্থন করে না এবং এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলেও দল সেটাকে সমর্থন করবে না।