তপন, ৫ এপ্রিল : দাম্পত্য জীবনের স্বপ্ন চোখে নিয়ে বালুরঘাট থেকে তপনে ফিরেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু বাড়ির দরজায় তালা – আর ঠিক সেই তালাবদ্ধ স্তব্ধতার সামনে বসে পড়লেন তিনি। স্বামীর ঘরে প্রবেশের অধিকার ফিরে পেতে পথে নামলেন, ধর্নায় বসে পড়লেন নিজের ঘরের সামনেই। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটতেই চাঞ্চল্য ছড়াল তপন থানার মাঝিখন্ড এলাকায়।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তপনের মাঝিখন্ডের বাসিন্দা ওয়ায়েস কুরুনি এবং গঙ্গারামপুরের চালুন এলাকার এক যুবতীর মধ্যে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথমে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে থাকতেন দম্পতি। পরে, ছয় মাস আগে মাঝিখন্ডে স্বামীর বাড়িতে ফিরেও আসেন তারা। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও, হঠাৎ করেই ঘটল অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা।

শুক্রবার কাজে গিয়ে বালুরঘাট গিয়েছিলেন স্ত্রী। সেখান থেকে ফেরার পর দেখেন তালা ঝুলছে তার ঘরে, আর কেউ নেই বাড়িতে। এক নিঃশব্দ অনুচ্চার প্রতিরোধে ভেঙে না পড়ে, প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়লেন তিনি। জানালেন, এটাই তার ঘর, এটাই তার স্বপ্নের ঠিকানা – এভাবে ফেলে যাওয়া যায় না।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তপন থানায় পৌঁছান তিনি। থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলে, তদন্তে নামে পুলিশ। এখন প্রশ্ন একটাই – দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত কবে আবার জোড়া লাগবে?
এই ঘটনায় শুধু এক গৃহবধূর সংগ্রাম নয়, প্রতিফলিত হল একজন নারীর নিজের অধিকারের জন্য নীরব অথচ দৃঢ় লড়াই। সমাজে এখনও যে ভালোবাসা, সম্পর্ক ও দায়িত্বের মাঝে এইরকম ভাঙন অনায়াসে দেখা যায়, তা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তপনের মাঝিখন্ড।