নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ মে ২০২২ : জলপাইগুড়ি আইন কলেজে টিএমসিপির হাতে আক্রান্ত বাম ছাত্র আন্দোলনের মহিলা কর্মীরা। বহিরাগতরা কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো দাবি শাসক দলের ছাত্র নেতার।
আইন কলেজে শাসক দলের ২০/২৫ জন ছাত্রদের দ্বারা তিন বাম ছাত্র আন্দোলনের মহিলা কর্মীর ওপর আক্রমণের অভিযোগ। ওরা দুজন মানুষের বলিষ্ঠ কথাকেও ভয় পায়, বললেন আক্রান্ত যুবতি। এমন ঘটনা জানিই না, মন্তব্য কলেজ প্রিন্সিপালের।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের অন্যান্য স্থানের সাথে জলপাইগুড়ি শহরেও জাতীয় শিক্ষা নীতি দু হাজার বাতিলের দাবিতে সই সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন এর মহিলা সদস্যারা। অভিযোগ শিক্ষা নীতি দু হাজার বাতিলের দাবিতে সই সংগ্রহ করতে এই মহিলা রাজনৈতিক কর্মীরা জলপাইগুড়ি আইন কলেজে যায়, আর এতেই শাসক দলের সমর্থকদের বাধার মুখে পরে।

ঘটনা প্রসঙ্গে, অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের নেত্রী ডলি সরকার যিনি নিজেও আক্রান্ত তিনি অভিযোগ করে বলেন, দু হাজার সালের শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবিতে রাজ্য জুড়ে আমাদের আন্দোলন চলছে, যার মধ্যে অন্যতম কর্মসূচি সই সংগ্রহ , এদিন আমরা আইন কলেজে সই সংগ্রহ করতে এসেছিলাম, কিন্তু কলেজে প্রবেশ করতেই ভেতরে থাকা কুড়ি পঁচিশ জন যারা নিজেদের আইন কলেজের পড়ুয়া বলে দাবি করেন, তারা আমাদের কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেই আমাদের ওপর শারীরিক ভাবে আক্রমণ করে। আসলে এরা ভয় পায়, দু জন মানুষের বলিষ্ঠ কথা বা আন্দোলনকে এরা ভয় পায়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আইন কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য কে সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করলে কার্যত এলোমেলো হয়ে পরতে দেখা যায় অধ্যক্ষকে। তিনি জানান, সব কলেজেই বহিরাগত আছে, তবে এখানে কাদের সাথে কি হয়েছে তা আমি জানি না।

অপরদিকে জলপাইগুড়ি আইন কলেজের তৃণমূল ছাত্র ইউনিয়নের ইউনিট প্রেসিডেন্ট সৌরভ মল্লিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, বহিরাগতরা কলেজে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল, কলেজের ভেতরে কোনো অশান্তি হলে স্বাভাবিক ভাবে ছাত্র ইউনিয়নের দায়িত্ব পরে সেটাকে থামানোর।