পুলিশ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপারের অফিসে মহিলারা

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : কোলে শিশু চোখে জল নিয়েই পুলিশ সুপারের অফিসে হাজির পুলিশ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে। গ্রামে থাকতে হলে তৃণমূল করতে হবে- হুমকি পুলিশের বলে অভিযোগ। এ কেমন নির্বাচন – প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের! হেরে যাওয়ার আগে যুক্তি খাড়া করে রাখছে বিজেপি! বক্তব্য তৃণমূল নেতা রাজিব ব্যানার্জীর।

মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা পর পঞ্চায়েত ভোট, তবে এখনো জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানার অন্তর্গত ১৫/৫৩ নম্বর বুথের বহু ভোটার ঘরছাড়া, চলছে পুলিশের সঙ্গে শাসক দলের অত্যাচার বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এমন প্রায় দেড়শো মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে এসে জানালেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ডা: জয়ন্ত কুমার রায়।

পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করার পর জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায় অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা পুলিশকে সাথে নিয়েই করছে। আমাদের কর্মীরা যাতে ভোট দিতে না পারে তাই মামলা করা হচ্ছে। এলাকায় অনেকেই ঘর ছাড়া, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হোক। পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান সাংসদ। তিনি আরও বলেন, অবাক হচ্ছি এই আক্রান্ত গ্রামবাসীদের মুখে জেনে, যে পুলিশ গ্রামবাসীদের শাসিয়ে বলছে, গ্রামে থেকে ভোট দিতে হলে তৃণমূলই করতে হবে।

অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে বর্তমানে গ্রাম ছাড়া বলে অভিযোগ করে সালবাড়ি গ্রামের এক বিজেপি কর্মী বলেন, আমার স্বামী বিজেপি দল করে, এই কারণে আমাদের ওপর অত্যাচার করছে পুলিশ এবং এলাকার তৃণমূলের লোকজন আমার স্বামী এখনো গ্রাম ছাড়া।

পুলিশ এবং শাসক দল দ্বারা অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে কোলের শিশুকে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে ছুটে আসা এক অভিযোগকারী চোখের জল মুছে বলেন, আমরা একা গ্রামে ফিরে গেলেই আবার অত্যাচার শুরু করবে।

এক মহিলা বিজেপি প্রার্থী জানান, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর সাথে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল দলের উত্তরের তিন জেলার পর্যবেক্ষক রাজিব ব্যানার্জি টেলিফোনে জানান, বিজেপি হেরে যাওয়ার আগে যুক্তি খাড়া করে রাখছে, কারণ পঞ্চায়েত ভোটের পর বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।

দেখুন ভিডিও

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *