জলপাইগুড়ি, ১০ জুলাই: “দিনে কুস্তি, রাতে দোস্তি!”—এই সংলাপেই যেন ফুটে উঠল জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি ও ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন উপ-প্রধান কৃষ্ণ দাসের ক্ষোভ। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দল ও রাজনীতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

রাজনৈতিক নৈতিকতার অবক্ষয় প্রসঙ্গে কৃষ্ণ দাস বলেন, “আজ রাজনীতির নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মুখে একটাই শব্দ—চোর, দুর্নীতিবাজ! এর জন্য দায়ী কিছু নেতার কার্যকলাপ। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া মদের গ্লাস হাতে দুই বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীর ভিডিও তার জ্বলন্ত উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “যে রাজনৈতিক দলের নেতাই হোক না কেন, এমন অনৈতিক আচরণ যারা করবে তাদের অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। শুধু তাই নয়, অনেক নেতা আছেন যারা দিনের আলোয় বড় কথা বলেন আর রাতে চালান মদের দোকান কিংবা ড্যান্স বার। এই দ্বিচারিতা আর বরদাস্ত করা হবে না।”
জলপাইগুড়ির অতীত ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরম্পরা টেনে এনে কৃষ্ণ দাস বলেন, “এক সময় এই শহর সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত ছিল। আজ সেই জায়গা দখল করেছে নেশা, লোভ আর লাম্পট্য। শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গা মাদক ও বিকৃতির থাবায় জর্জরিত।”
এই প্রেক্ষিতেই সমাজকে মাদকমুক্ত করতে এবং রাজনৈতিক শুদ্ধতার বার্তা পৌঁছে দিতে এসসি ও ওবিসি সেলের পক্ষ থেকে ১২ জুলাই একটি মেগা মিছিল ও সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে। লক্ষ্য—২১ জুলাই কলকাতার শহীদ সমাবেশকে সফল করা এবং সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।
এই স্বচ্ছ ও সাহসী অবস্থান ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে, তৃণমূলের ভেতর থেকেই কি শুরু হল আত্মশুদ্ধির ডাক?