মালদা : মালদার মানিকচকে ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ভূতনী ব্রিজ থেকে ফুলহর নদীতে মরণঝাঁপ দিলেন এক তরুণী। তবে উপস্থিত এক সাহসী যুবকের তৎপরতায় বেঁচে গেল তাঁর প্রাণ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর বাড়ি মানিকচকের ধরমপুর অঞ্চলের বড়োবাগান এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে ভূতনী ব্রিজে দাঁড়িয়ে তিনি কারও সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণ পর আচমকাই দৌড়ে এসে ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে ঝাঁপ দেওয়ার পর প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন তিনি।

এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় এক যুবক লিটন মিয়া, কোনো চিন্তা না করেই নদীতে ঝাঁপ দেন এবং তরুণীকে উদ্ধার করে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসেন। কিন্তু নদীতে লাফিয়ে পড়ার কারণে তরুণীটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঝাঁপ দেওয়ার আগে তরুণীটি একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। তবে কেন তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভূতনী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায় এবং এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করার পেছনের কারণ জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাহসী যুবক লিটন মিয়ার দ্রুত পদক্ষেপের জন্যই এক তরুণীর প্রাণ রক্ষা পেল।