সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৫ আগস্ট : এবছর শিক্ষারত্ন পেলেন জলপাইগুড়ি জেলার দুই শিক্ষক। দুজনই ধুপগুড়ি ব্লকের দুই বিদ্যালয়ের। একজন রয়েছেন সিদ্ধার্থ দত্ত যিনি ধুপগুড়ি ব্লকের দক্ষিণ খয়ের বাড়ি অ্যাডিশনাল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অপরজন সালবাড়ী হাই স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার ও ভারপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ তথা অ্যাসোসিয়েট এনসিসি অফিসার সুদীপ কুমার সিনহা।
এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষকদের এই সম্মানের কথা ঘোষণা করেন। এদিন জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা এই দুই শিক্ষককে এই সন্মান তুলে দেন। শিক্ষকদের হাতে মেমেন্টো, ফুলের তোড়া, শংসাপত্র দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এদিন অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ খয়ের বাড়ি অ্যাডিশনাল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, ২৩ বছর ধরে আমি এই স্কুলেই রয়েছি। শিশুদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা এই বিদ্যালয় করা হয়েছে। নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি বিদ্যালয়কে। এটি একটি প্রান্তিক স্কুল। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছি এই স্কুলে। সিসিটিভি থেকে রানিং ওয়াটার, কম্পিউটার সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট টেস্টের জন্য স্কুল থেকেই প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করে সাথে সাথে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এখানে শিশুদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থাই করা হয়েছে। প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয় চত্বরে।
অন্যদিকে শালবাড়ি হাই স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার তথা ভারপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ সুদীপ কুমার সিনহা বলেন, করোনার পর থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ বিদ্যালয় করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য। মিড ডে মিলের সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছে। পুষ্টিকর খাদ্য শিশুদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার আরো অনেকটাই বেড়েছে। আমরা ৩৬৫ দিনই পরিবেশ দিবস পালন করি। স্বচ্ছতার সাথে কাজ করি সারা বছর বলে তিনি জানান। এই সম্মান পেয়ে দুই শিক্ষকই ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।