সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ জুলাই ২০২২ : মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বছর ২৬ এর যুবক অভিজিৎ দাসের। বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের সেনপাড়া এলাকায়। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনায় সে মারা গেলেও যেহেতু পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন শহরের বাইরে ছিলেন তাই শনিবার ময়নাতদন্ত করার পর আজ রবিবার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ঐদিন প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে বাড়িতে ফিরছিল সদ্য এমবিএ সম্পন্ন করা অভিজিৎ। রাত ১১ টা নাগাদ জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি ইলেকট্রিক পোলে তীব্র গতিতে তার স্কুটি ধাক্কা মারে। মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে তার। ঘটনাস্থলে সে কিছুক্ষণ আহত অবস্থায় পরে ছিল বলে সূত্রের খবর। স্থানীয় একজন জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ফোন করলে ওই সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস নিজেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অভিজিৎকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। আঘাত গুরুতর থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
এদিন সম্পর্কে অভিজিতের মামা অরূপ মালাকার বলেন, পরশুদিন রাতে স্কুটি নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সে। কিছুক্ষণ দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলে ওখান থেকে জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ফোন করা হলে, ওই সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস তাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত ছিল। সদ্য এমবিএ সম্পন্ন করেছিল সে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট।
মৃতের কাকা অজিত দাস বলেন, আমরা কর্মসূত্রে সকলেই বাইরে থাকি। তাই আসতে দেরি হল। দুর্ঘটনার দিন সে স্কুটি নিয়ে বিডিও অফিস এলাকার রাস্তার পাশে থাকা একটি ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মারে। তবু এই ঘটনার মধ্যেও জলপাইগুড়ির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ফোনে খবর পাই এমন একটি ঘটনার কথা। ঐদিন আমি নিজে গিয়ে রেসকিউ করে অভিজিৎকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে ঠিকানা পেয়ে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই অভিজিতের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরকে এক হাত নেন অঙ্কুর বাবু। তিনি বলেন, ওই দপ্তরের দায়িত্ব জ্ঞান-হীনতার কারণেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়। ওখানে যে ইলেকট্রিক পোলটি রয়েছে সেটি রাস্তার খুব পাশে বেঁকে রয়েছে। পোলটি পড়ে গিয়েও যেকোনো সময় আরো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও ওখানে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে ও মৃত্যুও হয়েছে। তাই দপ্তরকে আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ও পোলটিকে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারসহ গোটা এলাকায়। আজই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।