সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৭ আগস্ট : বিয়ের দু মাস পর থেকেই গাড়ি ও টাকার জন্য মেয়ের ওপর শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে, জলপাইগুড়ি মহিলা থানার দ্বারস্থ অসহায় মেয়ের বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের বড় পোস্ট অফিস মোড় এলাকায়। নির্যাতিতা গৃহবধূর বাবার কাছ থেকে জানা যায়, চার মাস আগে সামাজিকভাবে শিলিগুড়ি নিবাসী নির্মল সাহা নিজের মেয়ের বিয়ে দেন জলপাইগুড়ি পোস্ট অফিস মোড়ের দেবাঞ্জন তলাপাত্রের সঙ্গে।
মেয়ের বাবা নির্মল সাহা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের দুই মাস পর থেকেই জামাই এবং তার মা আমার মেয়ের ওপর শারীরিক অত্যাচার করতে শুরু করে। কারণ তাঁদের দাবী আরো টাকা এবং একটি চার চাকার গাড়ি দিতে হবে। প্রথমে আমরা মেয়েকে বোঝাই মানিয়ে নিয়ে সংসার করতে।
কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তেই থাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে জামাই আমার মেয়েকে মারধর করে রাত দেড়টার সময় ঘর থেকে বার করে দিয়েছিল বলে এলাকার সহৃদয় মানুষরা আমাদের জানিয়েছেন। এরপরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা শিলিগুড়িতে আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে বিস্তারিত জানিয়ে জলপাইগুড়িতে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসি।
অপরদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার রাতে দেবাঞ্জন তলাপাত্র পাল্টা অভিযোগ করেন নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং গাড়ি ও টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন দেবাঞ্জন বাবু।
শুক্রবার রাতেই শিলিগুড়ি থেকে আগত মেয়ের বাড়ির লোকজন মেয়েকে নিয়ে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় লিখিত আকারে সব ঘটনা জানিয়ে মেয়েকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যায়। নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, তাকে তার স্বামী চুলের মুঠি ধরে টেনে সিঁড়ি দিয়ে নামাতো, লাথি মারতো, অনেক সহ্য করেছি, আর পারছি না।