সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৭ জুন ২০২২ : রাতভর মুষলধারায় বৃষ্টির জেরে ভাসছে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা। লাগাতার বৃষ্টির জেরে করলা নদীর জল উপচে পড়েছে। পুরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই হাঁটু সমান জল। কোথাও আরও বেশি জল জমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পরিমাণ ১৮৫.৪০ মিলিমিটার।

রাতভর অবিরাম বৃষ্টির জেরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলে ডুবে রয়েছে। জলে ভাসছে জলপাইগুড়ি শহরের একটি বড় অংশ। শহরের পান্ডাপাড়া, মহামায়াপাড়া, অশোকনগর, চুনিলাল রোড, কংগ্রেসপাড়া, সার্ফ মোড়, নিউটাউনপাড়া, সেনপাড়া, রবীন্দ্রনগর,পূর্ব অরবিন্দ নগর সহ সর্বত্রই শুধু জল আর জল। এইসব এলাকায় মানুষের ঘরেও জল ঢুকেছে। সোমবার সকাল থেকেও বৃষ্টির কোনও বিরাম নেই।

এজন্য জলমগ্ন এলাকার মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জলস্তর বেড়েছে জলপাইগুড়ি শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীতে। জলপাইগুড়ি শহরের বেশকিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় এইসব এলাকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সবমিলিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ দেখা দিয়েছে জলপাইগুড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লাগাতার বৃষ্টির জেরেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির জেরে জল দাঁড়িয়েছে পুরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব অরবিন্দ নগরের একাংশে। এখানকার পাল বেকারি এলাকায় রাস্তায় প্রায় হাটু সমান জল। অনেক বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। এখানকার ভবেশ চন্দ্র শিশু তীর্থ প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণ জলের তলায়। এলাকার মানুষের বক্তব্য, পঞ্চায়েত আমলে তাদের এই দুর্ভোগ ছিল না। তখন এলাকার ড্রেনগুলির গভীরতা ছিল অনেকটাই। বর্ষার আগে সেই ড্রেনগুলির মাটি কেটে পরিষ্কার করা হত যাতে বৃষ্টির জল ড্রেন দিয়েই বেরিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু ভোগান্তি শুরু হয় পুরসভা হওয়ার পর। কারন তারপর থেকেই ড্রেনগুলির সংস্কার তেমনভাবে হয় নি। পুরসভার সাফাই কর্মীরা শুধুমাত্র ড্রেনের কচুগাছ, আগাছা আর আবর্জনা তুলেই তাদের কাজ শেষ করেন। কাঁচা ড্রেনগুলি থেকে দীর্ঘদিন এক কোদালও মাটি না তোলায় ড্রেনগুলি তাদের গভীরতা হারিয়েছে। অনেক ড্রেন প্রায় বুজে এসেছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে জল রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ছে।