আধ্যাত্মিক ভক্তি ও শুদ্ধচিন্তায় রাঙা গুরু পূর্ণিমা; রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে দিনভর অনুষ্ঠান

জলপাইগুড়ি, ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার:
জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে আজ বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল গুরু পূর্ণিমা। ভোর থেকে শুরু হওয়া আধ্যাত্মিক পরিবেশে একের পর এক অনুষ্ঠান হয়ে উঠল ভক্তি, বেদান্ত ও আত্মোপলব্ধির মিলনমেলা।

দিনের সূচনা হয় সমবেত জপ ও ধ্যানে। বৈদিক মন্ত্রপাঠ, গুরু বন্দনা, গুরু গীতা পাঠ ও রামকৃষ্ণ শরণমের উচ্চারণে মুখরিত হয়ে ওঠে আশ্রম চত্বর। আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দজী মহারাজ নিজে সমবেত ধ্যান পরিচালনা করেন এবং গুরু তত্ত্বের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। অন্যান্য সন্ন্যাসীবৃন্দও গুরু পূর্ণিমার মহাত্ম্য ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেন।

সকাল থেকেই আশ্রমে ছিল ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। উপস্থিত সকলেই শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠায় অংশ নেন পুষ্পাঞ্জলি, স্তোত্রপাঠ ও কথামৃত পাঠে। দুপুরে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় গুরুতত্ত্ব ও গুরু-শিষ্য সম্পর্কের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন আশ্রমের মহারাজগণ।

দিনের শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়, যেখানে খিচুড়ি, সবজি ও পায়েস পরিবেশন করা হয়।

এই উপলক্ষে সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দজী মহারাজ বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবছরও গুরু পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও নিষ্ঠা লক্ষ্য করেছি। আধ্যাত্মিক জীবনে অগ্রসর হতে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুরুই জীবনের দিশারি। আজকের দিন সেই গুরু চেতনার প্রকাশ।”

আশ্রমজুড়ে এক পবিত্র ও স্নিগ্ধ পরিবেশে ভরে ওঠা এই দিন যেন হয়ে উঠল আত্মশুদ্ধির এক নীরব আহ্বান। জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে অনুষ্ঠিত এই গুরু পূর্ণিমা উৎসব শুধু একটি আচার নয়, বরং ছিল অন্তর্জগতে ডুব দেওয়ার এক অনন্য সুযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *