অরুণকুমার, জলপাইগুড়ি, ১৪ জুন ২০২২ : উত্তরের পর্যটনের মানচিত্রে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও দেশ বিদেশ থেকে জলদাপাড়ার একশৃঙ্গ গন্ডার, বাইসন, সাম্বার হরিণ এসব দেখার জন্য ছুটে আসেন। ফলে অনেক সময় হাতির সাফারি থেকে আরম্ভ করে জঙ্গল সাফারি এগুলো যথেষ্ট পরিমাণে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করার ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হয় কারণ
তুলনামূলকভাবে হাতি ও জঙ্গল সাফারি জন্য গাড়ি অপর্যাপ্ত । তার ওপর জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে অভয়ারণ্যগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারি নিয়ম অনুসারে। ফলে পর্যটকরা এসে হতাশ হন। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার বিকেলে
আয়োজিত হল এক উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্ষার সময় তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকে। এর ফলে জঙ্গল নির্ভর ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা এই তিন মাস প্রায় বন্ধ থাকে বলা চলে। কেননা জঙ্গল বন্ধ থাকায় এই সময় বলা চলে কোনো পর্যটকের আগমন হয় না ডুয়ার্সে । এবছরও আগামী ১৬ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে তিন মাসের জন্য জঙ্গল আর এই তিন মাস যাতে ডুয়ার্সে পর্যটকদের আগমন হয় এজন্য জঙ্গলের কিছু কিছু রুট খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে সোমবার মাদারিহাটে জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক বৈঠক আয়োজিত হল । এদিনের বৈঠকে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশ কিছু জঙ্গলের রুট খোলা রাখার জন্য প্রস্তাব এসেছে যেমন কোদালবস্তি সিসি রুট, মাদারিহাটে ট্রলি লাইন, জয়ন্তী নদী অবধি ইত্যাদি। সেই সমস্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এদিনের বৈঠকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক ছাড়া বনদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন ।