জলপাইগুড়িতে শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভায় কৃষ্ণ দাসের শক্তি প্রদর্শন, জেলা নেতৃত্বকে কটাক্ষ

জলপাইগুড়ি, ১৩ জুলাই: একদিকে ২১ জুলাই শহীদ দিবসের প্রস্তুতি, অন্যদিকে জেলা নেতৃত্বের প্রতি চাপা ক্ষোভ—এই দুইয়ের মিশেলে শনিবার সরগরম হল জলপাইগুড়ি। পূর্ব ঘোষণা মতোই এসসি ও ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস নিজের উদ্যোগে এক বিশাল প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেন, আর তাতে মানুষের উপস্থিতি যেন ছিল রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।

স্থান—সরোজেন্দ্র দেব রায়কত সাংস্কৃতিক কলাকেন্দ্র। সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ, এমনকি অনেকে জায়গা না পেয়ে বাইরে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে সভা শোনেন। কৃষ্ণ দাসের দাবি, “আমি যা আশা করেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি মানুষ আজ উপস্থিত। প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ এসেছেন। এটা মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ।”

এই সভার বিশেষ দিক ছিল—গত ২৮ জুন জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে হওয়া প্রস্তুতি সভায় তাঁকে ডাকা হয়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি আলাদা সভা করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং বাস্তবিকই, তাঁর সভার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে জেলা নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভও লুকিয়ে রাখেননি কৃষ্ণ বাবু। বলেন, “আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ আসেননি। তারা এলে ভালো লাগত। মনে রাখতে হবে, শুধু জেলা সভানেত্রী কিছু করতে পারবেন না, মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের জিততেই হবে, আর তা সম্ভব মানুষকে নিয়ে পথ চললেই।”

Krishna Das's show of strength at Martyr's Day preparation meeting in Jalpaiguri; sarcasm towards district leadership

এমনকি, নাম না করে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি তিনি, “জেলা সভানেত্রী যদি ভাবনার পরিবর্তন না করেন, তাহলে ২০২৬-এর পরে হয়তো তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *