শিলিগুড়ি, সোমবার, ৬ অক্টোবরঃ বন্যায় বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে এসে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, “উত্তরবঙ্গকে কেবলমাত্র ব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার—উন্নয়ন বা পরিকাঠামো নয়, বরং বঞ্চনাই উত্তরবঙ্গের প্রাপ্য।”
তিনি বলেন, “কলকাতায় কার্নিভাল, আর উত্তরবঙ্গে কান্না। দক্ষিণবঙ্গের কিছু নেতা, কিছু প্রভাবশালী আমলা, শুধু আসে উত্তরবঙ্গে লুট করতে।”
ডুয়ার্সের দুর্যোগপীড়িত অঞ্চল পরিদর্শনে এসে তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী প্রশাসনিক অবহেলা এবং অবৈধ ব্যবসা। তাঁর কথায়, “নদী থেকে নির্বিচারে বালি ও পাথর তোলা হয়েছে। জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। এই পাথর মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যই আজকের এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।”
রাজ্যের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৪ বছর ধরে উত্তরবঙ্গ লুট চলছে। উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি আর শোষণ।”
তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে মানবিক অবস্থানও প্রকাশ করেন তিনি— “প্রকৃতিকে কেউ দোষ দিতে পারে না, কিন্তু যারা প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, তারাই আসল দোষী।”
শমিক ভট্টাচার্য জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির উপর ব্যক্তিগতভাবে নজর রাখছেন এবং নিয়মিত রিপোর্ট নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার দুর্গত মানুষের পাশে আছে—যতটা সম্ভব ত্রাণ ও সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে।”
কলকাতা থেকে বাগডোগরায় অবতরণ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন তিনি, আর সেখান থেকেই রওনা দেন ডুয়ার্সের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে।
উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগে ফের রাজ্য রাজনীতির তাপমাত্রা চড়ল—একদিকে ত্রাণ ও পুনর্গঠন, অন্যদিকে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম শিলিগুড়ি।