নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়লেন। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় জলপাইগুড়ি এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শেখর ব্যানার্জী ও তাঁর অনুগামীদের। অবশেষে মনোনয়ন জমা করার সময় চলে যাওয়ায় আদালতের দারস্থ হতে চলছেন তিনি। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূলের প্রথম যুব সভাপতি ছিলেন শেখর ব্যানার্জী। দীর্ঘদিন থেকেই তিনি তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। এখনো তিনি তৃণমূল দল করেন। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার প্রথমে শেখর বাবুর নাম থাকলেও পরে তাঁর নাম বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার মহকুমাশাসক দফতরে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসে বাধার মুখে পড়েন শেখর বাবু।

পিডাব্লুডি মোড়ে প্রথমে শেখর বাবুকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে প্রার্থী সহ দুজনকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক দফতরের আগেই আবার আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশের সঙ্গে শেখর বাবুর রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়, ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তজনা ছড়ায়। কয়েক দফা প্রার্থীকে আটকে দেওয়ায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় চলে যায়।

এই বিষয়ে শেখর বাবু অভিযোগ করেন, সৈকত চাট্যাজির নির্দেশে পুলিশ আটকে দিল তাঁকে। তিনি বলেন, পুলিশের ভুমিকা নক্কারজনক। ভয় পাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী। তাই আমাকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে আমি আদালতের দারস্থ হচ্ছি।

এই প্রসঙ্গে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চাট্যাজি বলেন, পুরভোটে প্রার্থীর নামের তালিকা একটিই। ভুলবশত এক দুটো নাম এদিক ওদিক হয়েছে। আমরা শেখর বাবুকে নিয়ে ভাবিত নই, উনি এর আগেও ভোটে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে হেরেছেন। আবার দাঁড়ালে তিন বা চার নাম্বার স্থানের জন্য লড়াই করবেন। আর আইন আইনের পথে চলবে। বর্তমানে পুলিশ রাজ্য সরকারের নয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আর শেখর বাবু বয়স্ক মানুষ,ওনার সুস্থতা কামনা করি।

অন্যদিকে জলপাইগুড়ির মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার সুদীপ পাল জানান, তিনি মনোনয়নের কাজে ভেতরে ছিলেন। বাইরে কি হয়েছে জানেন না। তবে তিনি লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।