নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : দেশের প্রথম নেতাজীর মর্মর মুর্তি স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৫১ সালে জলপাইগুড়ি শহরে। একই সাথে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর হাতে গড়া আজাদ হিন্দ বাহিনীর কোহিমা বিজয়ে শহীদ সেনাদের স্মরনে জলপাইগুড়িতে স্মৃতি সৌধ তৈরী করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি শহরের পিডাব্লুডি মোড়ের সুভাষ ফাউন্ডেশনের ভিতরে রয়েছে এই মূর্তিটি।

সেখানে নেতাজীর সংগ্রহশালাও রয়েছে। আগামীকাল রবিবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দেশের মধ্যে প্রথম মর্মর মুর্তি তৈরি হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরে। দেশভাগের পর নেতাজির অন্তর্ধানে গোটা দেশ যখন তোলপাড় সেই সময় জলপাইগুড়ির একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ চন্দ্র কবিরাজ কিছু সহযোগীকে নিয়ে নীরবে নেতাজীর মুর্তি স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

এই মুর্তির আবরন উন্মোচন করেন আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল। ১৯৬৮ সালের জলপাইগুড়িতে প্রবল বন্যায় মুর্তিটির ক্ষতি হয়। ২০০৭ সালে ফের মূর্তিটিকে সংরক্ষন করে জলপাইগুড়ি সুভাষ ফাউন্ডেশনের ভেতরে রাখা হয়। নেতাজি দেশ স্বাধীনের আগে ১৯২৮ সালে একবার পরে ১৯৩৯ সালে আরও একবার জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন।

নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের জেলা সম্পাদক গোবিন্দ রায় বলেন, আমরা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করছি দেশের প্রথম নেতাজির মূর্তি সংরক্ষণ করা হোক। নেতাজির জন্মদিনকে কেন্দ্র করে জাতীয় দেশপ্রেম দিবস পালন করা হবেশহরের কদমতলা মোড়ে। এরপর সুভাষ ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠান হবে।