সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ ডিসেম্বর’২৩ : কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত। মেয়ের চিকিৎসার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রতিবন্ধী বাবা। এরই মধ্যে মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে জমি বিক্রি করতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও মেয়ের চিকিৎসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া মোহিতনগর চৌরঙ্গীর বাসিন্দা বাপী দত্ত । মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে ডান হারিয়েছেন ১৯৮২ সালে। বাড়িতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন । অতীতে জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মিটার রিডিং সংগ্রহের কাজ করতেন বাপী দত্ত। সেই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ঘুরে ঘুরে লটারির টিকিট বিক্রি করেন তিনি। মেয়ে রিয়া জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে রিয়া সংসারে খানিকটা হলেও সাহায্য করতেন বলে জানিয়েছেন বাপী দত্ত। গত প্রায় এক বছর আগে রিয়ার খাদ্য নালীতে টিউমার অপারেশন হয়। এরপর সেই টিউমার বায়োপসি পরীক্ষা করার ক্যানসার ধরা পড়ে। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাপী দত্ত। মেয়ের চিকিৎসায় যদি কোনও সহৃদয় ব্যাক্তি বা সংস্থা সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে তাহলে ভালো হতো বলে জানিয়েছেন তিনি। বাপী দত্ত বলেন, “কর্মসাথী প্রকল্পে দু’ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেছিলাম। আজও সেই ঋণ পাইনি। মেয়ের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন যদি সহযোগিতা করেন কৃতজ্ঞ থাকব।” জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ” প্রতিবন্ধী এই ব্যক্তির মেয়ের চিকিৎসার জন্য যতটা সম্ভব সহযোগিতা করতে চেষ্টা করছি আমরা ।”
